রাষ্ট্রপতি এম আবদুল হামিদ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ সকালে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের একদিন আগে দেশ ও জাতির জন্য আত্মোৎসর্গকারী মহান বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্যে সকাল ৭টা ৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি এ পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রাষ্ট্রপতি সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজ খবর নেন। এর আগে, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ স্মৃতিসৌধে পৌঁছালে মন্ত্রিপরিষদের কয়েকজন সদস্য, ডেপুটি স্পিকার, সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যরা তাঁকে স্বাগত জানান।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী একেএম মোজাম্মেল হক, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, চিফ হুইপ এ.এস.এম. ফিরোজ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপুমনি, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, তিন বাহিনীর প্রধানগণ এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

১৯৭১ সালের এই দিনে বিজয়ের উষালগ্নে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামসের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় জাতির বীর সন্তানদের অপহরণ ও নির্মমভাবে হত্যা করে। পাকিস্তানী সেনাবাহিনী জাতিকে মেধাশূন্য করতে তাদের এদেশীয় দোসরদের সহায়তায় বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, নাখালপাড়া, রাজারবাগসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের নির্যাতন কেন্দ্রে নিয়ে যায়। পরে অমানুষিক নির্যাতন শেষে বিভিন্ন বধ্যভূমি বিশেষ করে রায়েরবাজার ও মিরপুরে তাদের হত্যা করা হয়। এরপর থেকে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।