আমি ১৯৭১ সালে কলাপাড়া থানা ভবন আমার নেতৃত্বে বর্তমান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, এ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান শওকত, সাংবাদিক নির্মল রক্ষিত, প্রয়াত রবীন্দ্র হালদারের সমন্বয়ে যুদ্ধ করে থানা মুক্ত করেছি। ভাট্টি জাহাজ দখলে বীরত্বের পরিচয় দিয়েছিলাম। পাকিস্তানি হানাদারদের নাস্তনাবুদ করেছিলাম। আর এখন যদি কলাপাড়ায় আমার পাশে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারে বসে থাকছে সরকারের তালিকাভুক্ত কোন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা, তখন আমার অবস্থাটা তো জামালপুরের সহযোদ্ধা আবুল হোসেনের মতোই হয়ে যায়!

এমনই প্রচন্ড খেদোক্তির অনেক লেখার সঙ্গে সহযোদ্ধা আবুল হোসেনের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রত্যাখ্যান করলেন মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ সাংবাদিক, ঢাকা সাংবাদিক পরিবার বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর পরিচালক হাবিরুল্লাহ রানা। প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি আরও লিখেছেন কলাপাড়ায় ২০১৪ সালের সরকার ঘোষিত বাদপড়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রনয়নের ঘোষণার সুযোগ নিয়ে আবেদন জমা হয় ১১৫টি। যার মধ্যে ৪৪ জনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। যা মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে পাঠিয়েছেন। এই প্রক্রিয়ায় তিনি জড়িত থাকলেও তার অমত ছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা গুরত্ব দেয়নি। বাধ্য হয়েছেন সই করতে। তার দাবি এই তালিকা সম্পুর্ণ রাজনৈতিক। এজন্য তিনি ব্যথিত হয়ে মৃত্যুর পরের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রত্যাখ্যান করলেন।