দশম জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশন আগামী ৭ জানুয়ারি রোববার বিকাল ৪টায় শুরু হবে।রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বুধবার এ অধিবেশন আহবান করেন ।

জাতীয় সংসদের এ অধিবেশন হচ্ছে ২০১৮ সালের প্রথম অধিবেশন। বছরের প্রথম অধিবেশন হিসাবে সংবিধান অনুযায়ি রাষ্ট্রপতি অধিবেশন শুরুর দিন সংসদে ভাষণ দিবেন। এ ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপরও রেওয়াজ অনুযায়ি দীর্ঘ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এ হিসাবে জাতীয় সংসদের আসন্ন অধিবেশন দীর্ঘস্থায়ী হবে।এছাড়াও ১৯তম অধিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি বিল পাস ও উত্থাপন হতে পারে। সমসাময়িক বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। অবশ্য আগামী ৭ জানুয়ারি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সংসদ কার্য উপদেষ্টা কমিটির সভায় এ অধিবেশনের মেয়াদ ও কার্যক্রম চূড়ান্ত করা হবে।

এদিকে দশম জাতীয় সংসদের ১৮তম অধিবেশন গত ১২ নভেম্বর শুরু হয়ে ২৩ নভেম্বর শেষ হয়। মোট ১০ কার্যদিবসের ওই অধিবেশনে মোট ১৮টি সরকারি বিলের মধ্যে ৩টি বিল পাস হয়। আইন প্রণয়ন সম্পর্কিত কাজ সম্পাদনের পাশাপাশি কার্যপ্রণালী বিধির ৭১ বিধিতে ২৮৬টি নোটিশ পাওয়া যায়। নোটিশগুলো থেকে ১৫টি গৃহীত হয় এবং ১১টি আলোচিত হয়। এছাড়া ৭১(ক) বিধিতে দুই মিনিটের আলোচিত নোটিশের সংখ্যা ছিল ১০৫টি।সংসদের ১৮তম অধিবেশনে সংসদ কার্য প্রণালী বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসাবে ‘ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে’ অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় দেশ ও জাতি গর্বিত শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা শেষে ইউনেস্কোসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাব গৃহীত হয়।