গাজীপুরের শ্রীপুরে জমির ধান পাহাড়া দিতে গিয়ে শিশু এক স্কুল ছাত্র মশার কয়েল থেকে সৃষ্ট আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয়ে মারা গেছে। এ ঘটনায় নিহত ছাত্রের নানা হযরত আলী (৬০) দগ্ধ হয়েছে। গাজীপুর জেলার শ্রীপুর পৌরসভার সূতাপাড়া গ্রামে রবিবার রাতে এঘটনা ঘটে। নিহতের নাম হাসিবুর রহমান সায়ক (৮)। সে সূতাপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে এবং স্থানীয় বেকশ্বহরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র।

নিহতের মামা আবুল খায়ের ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর জেলার শ্রীপুর পৌরসভার সূতাপাড়া গ্রামের হযরত আলীর মেয়ে ফজিলা বেগমের জমির ধান কেটে বাড়ির পাশের নিজ জমিতেই মজুদ করছিল। গত কয়েকদিন যাবত ধান কাটতে থাকায় ধান পাহাড়া দেওয়ার জন্য জমির এক পাশে খড় দিয়ে অস্থায়ী ঘর তৈরী করে সেই ঘরে রাত যাপন করে আসছিল পরিবারের কয়েক সদস্য। প্রতিদিনের মতো রবিবার সন্ধ্যায় মশার কয়েল জ¦ালিয়ে নাতি সায়ককে নিয়ে তার নানা হযরত আলী ওই ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত সাড়ে ৭টার দিকে হঠাৎ কয়েল থেকে ওই ঘরে আগুন ধরে যায় এবং মুহুর্তেই পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে খড়ের চালা ও বেড়া পুড়ে ভেঙ্গে ঘুমন্ত নানা নাতির উপর পরে তাদেরকে চাপা দেয়। এসময় আগুনে দগ্ধ হয়ে ঘুম থেকে উঠে নানা হযরত আলী তার নাতিকে জ্বলন্ত ঘরের মধ্যে ফেলে রেখেই নিজে আত্মরক্ষার্থে দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। এ ঘটনায় জ্বলন্ত খড়ের স্তুপের নীচে চাপা পড়ে ঘুমিয়ে থাকা শিশু সায়ক আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয়ে মারা যায়। পরে স্থানীয় লোকজন খড়ের ছাইয়ের নীচ থেকে সায়কের অঙ্গার দেহ বের করে।

শ্রীপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিল্লাল হোসেন জানান, খড়ের ঘর থাকায় কয়েলের আগুন মুহুর্তের মধ্যে পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ঘুমিয়ে থাকা সায়ক আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। দগ্ধ হযরত আলীকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।