বাংলাদেশী টাকা জাল করা এবং বাজারজাতকরণ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভারতীয় জাল মুদ্রা তৈরি করত লিয়াকত। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমরানুল হাসান।  বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) কেরানীগঞ্জে একটি বাসা থেকে বিপুল পরিমান জাল মুদ্রা তৈরির সরঞ্জাম, ১০ লাখ জাল রুপিসহ লিয়াকত ও তার এক সহযোগী জাহাঙ্গীর আলমকে (৪০) গ্রেফতারের বিষয় জানাতে সংবাদ সম্মেলনে আয়োজন করা হয়।

এমরানুল হাসান বলেন, বাংলাদেশী জাল মুদ্রা বাজারজাতকরণ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভারতীয় মুদ্রা তৈরি করতো সে। সে তার স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে রাজধানীর বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জ এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় সরবরাহ করতো।
প্রতি লাখ জাল ভারতীয় মুদ্রা ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করতো সে। এভাবে প্রতি মাসে ৫০-৬০ লাখ রুপি সরবরাহ করার টার্গেট ছিল। আর এতে তার মাসিক আয় ছিল দেড় থেকে দুই লাখ টাকা।

এক প্রশ্নের জবাবে এমরানুল হাসান বলেন, ভারতীয় ৫০০ ও ১ হাজার রুপির নোট তৈরি সহজ হওয়ায় সে এসব নোটগুলো তৈরি করতো সে। লিয়াকত কাটআউট পদ্ধতিতে জাল রুপিগুলো সরবরাহ করতো জানিয়ে তিনি বলেন, এটা একটা চেইন। লিয়াকত কাদের কাছে জাল রুপিগুলো সরবরাহ করতো জানতে চাইলে র‌্যাব-৩ অধিনায়ক এমরানুল হাসান বলেন: সেটা অনেক ক্ষেত্রে সে নিজেই জানতো না। সে ছিল জাল রুপির পাইকারী বিক্রেতা। তারপরেও আমরা কিছু নাম পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। যেসব মানি এক্সচেঞ্জে সরবরাহ করতো সেসবের বিষয়েও এখনো ধারনা পাওয়া যায়নি। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে সেসব জানা যাবে।

লিয়াকতের আগে কয়েকবার গ্রেফতার হয়েছিলেন উল্লেখ করে র‌্যাব-৩ এর প্রধান বলেন, তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় পাঁচটি মামলা পাওয়া গেছে।