কুড়িগ্রামে জেএসসি পরীক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম মরণব্যাধী বোনম্যারো ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত। ক্রমেই অস্থিমজ্জা থেকে ক্যানসার সেলগুলো দ্রুত তার রক্তে ছড়িয়ে পড়ছে। সদ্য শৈশব পেরুনে প্রাণোচ্ছ্বল কিশোরটি জানেনা তার শরীরে কি মরণব্যাধি তাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। তার শারীরিক অবস্থার অবণতি হওয়ায় গত ৯ ডিসেম্বর এলাকাবাসী চাঁদা তুলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। বর্তমানে সে হেমাটোলজি বিভাগে বিএমটি ইউনিট ও হেমাটোলজি বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. এমএ খান এর তত্বাবধানে রয়েছে। তার চিকিৎসার ব্যয়ভার মেটাতে প্রয়োজন প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। দরিদ্র দিনমজুর পিতার পক্ষে সন্তানের চিকিৎসা ব্যয় মেটানো অসম্ভব ব্যাপার।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের দোবাড়িয়ার ভিটা গ্রামের দিনমজুর নুরল আমিনের পূত্র সে। চলতি বছর ঘোগাদহ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। জাহিদুল ভবিষ্যতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখতো। তার স্বপ্ন কি কখনো প্রত্যাশার পাঁপড়ি মেলাতে পারবে না! হাস্যোজ¦ল কিশোরটির বর্তমানে নিরব হয়ে গেছে। তার জীবন প্রদীপ যে ক্রমেই নিভু নিভু হয়ে যাচ্ছে।জাহিদুলের মা বুলবুলি বেগম জানান, সহায় সম্বল যা ছিল। কুড়িগ্রাম আর রংপুর মেডিকেলে ছোটাছুটি করতে সব খরচ হয়ে গেছে। সংসারের দুরবস্তা দেখে এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় ছেলেকে ঢাকায় পাঠানো সম্ভব হয়েছে। কিন্তু তার চিকিৎসার জন্য অত টাকা আমরা কোথায় পাবো। ফাঁকা বোধবুদ্ধিহীন চোখে জাহিদুলের মা শুণ্যে দৃষ্টি মেলে তাকান। আর চাপা দীর্ঘশ^াস ফেলেন।চিকিৎসকরা বলেছেন, দ্রুত অস্তিমজ¦া প্রতিস্থাপন করা দরকার। ইতোমধ্যে ক্যানসার রক্তে ছড়িয়ে পড়ছে। জাহিদুলকে বাঁচাতে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। তার চিকিৎসার জন্য সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দাতা সংগঠন কিংবা বৃত্তবান ব্যক্তিদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে দরিদ্র পরিবারটি। যোগাযোগঃমো. নুরল আমিন (জাহিদুল ইসলামের বাবা) মোবাইল: ০১৭৮১০২০৯০৮ (বিকাশ)০১৭৮১০২০৯০৮৩ (রকেট)। ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, কুড়িগ্রাম শাখা। সঞ্চয়ী হিসাব নং- ২৬২.১৫১.০০৪.৪৭২০ ।