শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নেওয়া সংসদ সদস্য কেরামত আলী। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে শপথ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। আগামীকাল বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে কেরামত আলী তাঁর দপ্তর সম্পর্কে জানতে পারবেন। কেরামত আলী বলেন, ‘যে দায়িত্ব দেওয়া হবে সে দায়িত্ব যথাযথ সম্মানের সাথে আমি পালন করার চেষ্টা করব।’ বর্তমানে শিক্ষার চ্যালেঞ্জ কীভাবে মোকাবিলা করবেন জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী (দায়িত্ব) দিয়েছেন, যাতে একসাথে কাজ করে যেসব সমস্যা আছে সেগুলো আমরা সমাধান করতে পারি।’

রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজবাড়ী-১ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী। তিনি ১৯৫৪ সালের ২২ এপ্রিল রাজবাড়ী জেলার সজ্জনকান্দায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা কাজী হেদায়েত হোসেন এবং মা মনাক্কা বেগম। তাঁর স্ত্রীর নাম রেবেকা সুলতানা।

কাজী কেরামত আলী রাজবাড়ী ইয়াসিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ব্যবসার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ১৯৯০ থেকে রাজবাড়ী জেলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

১৯৯২ সালে রাজবাড়ী-১ আসন থেকে পঞ্চম জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কাজী কেরামত আলী। ১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদে এবং ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ৯ম জাতীয় সংসদ ও ২০১৪ সালে ১০ম জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি পঞ্চম জাতীয় সংসদে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সপ্তম জাতীয় সংসদে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, নবম জাতীয় সংসদে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কিমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন এবং জাতীয় সংসদে লাইব্রেরি কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিমন্ত্রী ১৯৯৬ থেকে রাজবাড়ী জেলা বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি, জেলা রোটারি ক্লাবের সদস্য এবং জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জীবন সদস্য।

সন্ধ্যায় পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামাল এবং তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার। এরপর শপথ নেন কেরামত আলীও। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বর্তমানে শিক্ষমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নুরুল ইসলাম নাহিদ। প্রশ্নপত্র ফাঁস বিভিন্ন বিষয়ে সমালোচনা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।