বর্তমান সরকারের মেয়াদপূর্তির শেষ বছরে শপথ নিলেন আরও তিনজন মন্ত্রী ও এক প্রতিমন্ত্রী। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নতুন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করান। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, তথ্য-প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল। আর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী কেরামত আলী।

শপথ নেওয়া মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীরা কে কোন মন্ত্রণালয় পাচ্ছেন তা এখনও জানা যায়নি। তবে বর্তমান মন্ত্রিসভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী নেই। সদ্য প্রয়াত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হক মারা যাওয়ায় এ পদটিও শূন্য হয়েছে। এই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।

তবে সচিবালয়সহ বিভিন্ন সূত্র বলছে, মোস্তাফা জব্বারকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ, এ কে এম শাহজাহান কামাল সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় পেতে পারেন। আর নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে তার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করা হতে পারে।

এর আগে ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই মন্ত্রিসভায় রদবদল আনা হয়। তখন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা নুরুল ইসলাম বিএসসিকে পূর্ণমন্ত্রী করা হয়। আর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য তারানা হালিম ও লালমনিরহাট-২ এর সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদ।

আর ৯ জুলাই স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দফতরবিহীন করা হয়। পরে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে এলজিআরডি মন্ত্রী করা হয় ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী ও একই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন মারা যান। এরপর ২০১৬ সালের ১৯ জুন খাদ্য প্রতিমন্ত্রী থেকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান নুরুজ্জামান আহমেদ।

এর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ সরকার। পরে ওই বছরের ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেন।
তখন অধিকাংশ পুরনো মন্ত্রীকে বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত নতুন ও আগের সরকারের সময় দলের বাদ পড়া জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে সরকার গঠন করা হয়।

ওই বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি আরেক দফা মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করেন প্রধানমন্ত্রী। সে সময় আবুল হোসেন মাহমুদ আলীকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং নজরুল ইসলামকে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। হজ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ২০১৪ বছরের ১২ অক্টোবর আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে অপসারিত হন। নতুন শপথ নেওয়া চারজনসহ বর্তমান মন্ত্রিসভায় ৩৩ জন মন্ত্রী, মন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর একজন বিশেষ দূত ও পাঁচজন উপদেষ্টা, ১৮ জন প্রতিমন্ত্রী এবং দু’জন উপমন্ত্রী রয়েছেন।