গত কয়েকদিনের অব্যাহত শীতের তীব্রতায় পাবনায় ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক শিশু ও বৃদ্ধ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, পাবনা জেনারেল হাসপাতালে গত দু’মাসে সাড়ে ৩ হাজার শিশু নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এরমধ্যে নানা রোগে মারা গেছে। গত কয়েকদিন ধরে সারাদেশে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় উত্তরের জেলা পাবনায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এ কারণে জেলায় দেখা দিয়েছে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগ। এ রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা ছুঁটছেন বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সসহ জেলা পাবনা জেনারেল হাসপাতালে। কিন্তু সেখান থেকেও মিলছে না কাঙ্খিত চিকিৎসা সেবা। প্রতিদিনই অন্তত ৩/৪ জন শিশুকে রাজশাহী অথবা ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হচ্ছে। সেই সাথে জেনারেল হাসপাতালে দেখা দিয়েছে অক্সিজেনের সংকট। একত্রে তিনটি শিশুর জন্য ১টি অক্সিজেন সিলিন্ডিার ব্যবহার করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে শয্যা সংখ্যা মাত্র ৩৩টি। অথচ ফটো থেরাপি মেশিন বিকল থাকায় একটি বাল্ব জ্বালিয়ে তিনটি শিশুকে থেরাপি দেওয়া হচ্ছে। পাবনা জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স রাবেয়া খাতুন জানান, শীতের শুরুতে গত নভেম্বরে এ হাসপাতালে ২ হাজার ২৫ জন শিশু ভর্তি হয়। তারমধ্যে ৪৪ জন শিশুর মৃত্য হয়। এ ছাড়া ডিসেম্বরে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৩৫ জন শিশু। মারা যায় ৮ জন শিশু। তার ৬ জন শিশু নিমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ১০/১৫ জন শিশু ও বৃদ্ধ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, শীতের শুরুতে এবং শীতের শেষ দিকে ঠান্ডাজনিত রোগে শিশু আক্রান্ত বৃদ্ধি পায়।