বিশ্ববিদ্যালয় কেবল পাঠদান কেন্দ্র নয় বরং তা উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার শ্রেষ্ঠ পাদপীঠ বলে উল্লেখ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। তিনি বলেন,‘শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণভাবে গড়ে তুলতে এবং তাদের বিশ্ব নাগরিকে পরিণত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।রাষ্ট্রপতি বলেন,কারিকুলাম ভিত্তিক শিক্ষার পাশাপাশি মুক্ত চিন্তা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা, জাতি গঠনমূলক কর্মকা-, সমকালীন ভাবনা এবং সাংস্কৃতিক চর্চাসহ খেলাধুলা ইত্যাদি সৃজনশীল কর্মকান্ড শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও পরিপূর্ণ করে তোলে।

ইবির বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. মো.সরওয়ার মোর্শেদ ও আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরমিন খাতুনের স ালনায় অনুষ্ঠিত এ সমাবর্তনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান।এবারের সমাবর্তন বক্তা হিসেবে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো.হারুন-উর-রশিদ আসকারী।এসময় রাষ্ট্রপতির পতœী এবং তার মেয়ে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও ঝিনাইদহ ১ আসনের সাংসদ আব্দুল হাইসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।প্রসঙ্গত, এবারের সমাবর্তনে ১ হাজার ৬৩৭ জন স্নাতক, ৭ হাজার ৪৮৮ জন স্নাতকোত্তর, ১৩৭ জন এমফিল ও ১১০ জন পিএইচডি ডিগ্রিধারীদের মূল সনদ প্রদান করা হয়। সর্বমোট ৯ হাজার ৩৭২ জনকে সমাবর্তনে সনদ প্রদান করা হয়।