প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে কেউ মানুষ পুড়িয়ে মারলে কিংবা জানমাল ধ্বংসের মতো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে, সরকার তা কোনোমতেই বরদাশত করবে না। এ ব্যাপারে কঠোর হতে পুলিশ বাহিনীকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে এই নির্দেশ দেন তিনি। ভবিষ্যতে যেকোনো অভিযান পরিচালনায় আন্তঃবাহিনীর মধ্যে তথ্য সমন্বয়ের আহ্বান তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।

পুলিশ বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনা ও মূল্যায়নের পাশাপাশি আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নে প্রতিবছরই আয়োজিত হয় পুলিশ সপ্তাহ। যেখানে পুলিশের সাথে সরকার ও প্রশাসনের কেন্দ্র থেকে প্রান্ত পর্যন্ত স্থাপিত হয় সুদৃঢ় সম্পর্ক।

পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে সরকারের উচ্চতর স্তরের নির্দেশনা পেতে মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উপস্থিত হন পুলিশের শতাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সরকার প্রধানের কাছে উপস্থাপন করেন সীমাবদ্ধতার বিভিন্ন প্রসঙ্গ।

এ সময়, জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশ বাহিনীর বিশেষ অবদানের জন্য সাধুবাদ জানান শেখ হাসিনা। বলেন, জঙ্গিবাদ বৈশ্বিক সংকট হলেও, বাংলাদেশে এটি সৃষ্টি করেছে জামায়াত- বিএনপি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের সৃষ্টি আসলে বিএনপি জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসেই সৃষ্টি করে দিয়ে গেছে। আমি পুলিশ বাহিনীকে আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাই যে, কঠোর হস্তে এই জঙ্গিবাদ দমনে আপনারা কাজ করে গেছেন।’

অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কোনো বাহিনী একক ভাবে কাজ না করে, গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তাদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা বিভিন্নভাবে কাজ করে, বিভিন্ন তথ্য তাদের কাছে আসছে। তাদের প্রতি আমার নির্দেশ আছে যে, কোন তথ্য পেলে সেটা শেয়ার করে কি করণীয় সেটা একে অপরকে জানাবে এবং পরিকল্পিতভাবে সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়, কেউ ক্রেডিট নিতে গিয়ে একা একা করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত নিজের জীবন দিতে হয়। এখানে শুধু একক ক্রেডিট নেয়ার কোনো ব্যাপার না।’