সৌদি আরবের জিজান প্রদেশের সামতাহ নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১০ বাংলাদেশির মধ্যে সাতজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। সৌদি আরবের জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেট থেকে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নিহতদের পরিচয় জানানো হয়।

নিহত সাত বাংলাদেশি হলেন-

১. নরসিংদী সদর উপজেলার বীরগাঁও গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ ইডেন মিয়া। তাঁর পাসপোর্ট নম্বর বিজে ০২৩২০৬৫।

২. নরসিংদী সদর উপজেলার বাউসিয়া গ্রামের আবু মিয়ার ছেলে আমির। তাঁর পাসপোর্ট নম্বর বিএইচ ০০৬০৮০৭।

৩. টাঙ্গাইলের কালীহাতী উপজেলার কস্তুরীপাড়ার আবদুল হামিদের ছেলে সফিকুল সিকদার। তাঁর পাসপোর্ট নম্বর বিপি ০৪৭২৮৫৩।

৪. টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার জামুরকি ডুবাইল গ্রামের রহিম মিয়ার ছেলে আমিন মিয়া। তাঁর পাসপোর্ট নম্বর বিএল ০৩১৮০৮২।

৫. নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার নুনেরটেক গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মতিউর রহমান। তাঁর পাসপোর্ট নম্বর এএফ ৮২৯৭৯২৮।

৬. কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার বিরাজপুর চরহাজীপুর গ্রামের আবুল কাসেম ছেলে জসিম উদ্দিন। তাঁর পাসপোর্ট নম্বর বিএইচ ০২৯৪২১৯।

৭. সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার বালকদি গ্রামের আকবর আলীর ছেলে মোহাম্মদ দুলাল হোসাইন। তাঁর পাসপোর্ট নম্বর বিজে ০৮৭৮৬২৩।

গত শনিবার সকালে সৌদি আরবের জিজান প্রদেশে কাজে যাওয়ার সময় পিকআপ উল্টে দশ বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত হন। তাঁরা সবাই জিজান প্রদেশের আল ফাহাদ প্রতিষ্ঠানের পরিচ্ছন্নতাকর্মী। জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলার জেনারেল অফিসের মোস্তফা জামিল খান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বাসসকে জানান, সৌদি সরকারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আগামী ২০ অথবা ২১ দিনের মধ্যে নিহতদের লাশ বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

ওয়েজ আর্নার কল্যাণ তহবিল থেকে সরকারের নিয়ম অনুযায়ী নিহত প্রত্যেক সদস্যকে দাফন কাজের জন্য ৩৫ হাজার এবং আর্থিক সহায়তা বাবদ তিন লাখ টাকা প্রদান করা হবে।এ ছাড়া সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট কোম্পানি নিহতদের পরিবারকে বিমার টাকাসহ আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।