নওগাঁয় বে-সরকারী টিভি চ্যানেলের দুই সাংবাদিক সহ ক্যামেরাম্যানকে পিটিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। বুধবার দুপুরে নওগাঁর সাপাহার উপজেলা সদরের জিরোপয়েন্ট এলাকায় গিয়াস মার্কেটে সাংবাদিকদের উপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় হামলাকারীরা সাংবাদিকদের মারপিট করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। সন্ত্রাসী হামলার শিকার দুই সাংবাদিক হলেন, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আই এর নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি ও নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি কায়েস উদ্দীন এবং এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজ টিভির নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি রায়হান আলম। এসময় সন্ত্রাসীরা এটিএননিউজ ও এটিএন বাংলার ক্যামেরাম্যান সুমন ইসলামকেও মারপিট করে। হামলার শিকার সাংবাদিকরা সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

সাংবাদিক রায়হান আলম বলেন, সাপাহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজাহান আলীর বিরুদ্ধে সাপাহার সদরের জিরোপয়েন্ট এলাকায় গিয়াস মার্কেট নামে একটি বিপণিবিতান দখলের ঘটনায় গত মঙ্গলবার মামলা হয়। এ অভিযোগের সূত্রে ধরে প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধান করতে বুধবার দুপুরে আমরা ঘটনাস্থলে তথ্য সংগ্রহ করছিলাম। এ সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ৭/৮জন ব্যাক্তি সন্ত্রাসী কায়দায় আমাদের উপর অতির্কিতভাবে হামলা চালায়। লাঠি ও চেলা কাঠ দিয়ে তারা আমাদের মারধর করে হামলাকারীরা ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমাদের উদ্ধার করেন।
সাংবাদিক কায়েস উদ্দীন বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা শাহাজাহান আলীর নির্দেশে আমাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা আইনের আশ্রয় নেব। আশা করি, পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবে। হামলার বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা শাহাজাহান আলী সাংবাদিকদের বলেন, এ হামলার ঘটনায় আমার কোনো হাত নেয়। সাংবাদিকের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। বিপণিবিতান দখলের বিষয়ে বিরোধী পক্ষ আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমি আদালতেই এর জবাব দেব।

সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আলম শাহ্ বলেন, এ ঘটনায় মামলার দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনা তদন্ত কওে প্রৃকত হামালাকারীদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
জানা যায়, ক্রয় সূত্রে পাওয়া ৪ শতক জমির গিয়াস উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি ১৯৮৪ সালে বিপণিবিতান নির্মাণ করে। যা গিয়াস মার্কেট নামে পরিচিত। গিয়াস মারা যাওয়ার পর তার ওয়ারিশরা দীর্ঘদিন ধরে ওই মার্কেট ভাড়া দিয়ে ভোগদখল করছিলেন। কিন্ত গত সোমবার সাহাজাহান আলীর নেতৃত্বে একদল লোকজন সন্ত্রাসী কায়দায় ওই বিপণিবিতানের ভাড়াটিয়াদের বের করে দিয়ে তালা দিয়ে দখলে নেন। এ ঘটনায় ওই বিপণিবিতানের মালিক মৃত গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী হাজেরা বেগম নওগাঁর সাপাহার সহকারী সিনিয়র জজ আদালতে মামলা করেন।