নওগাঁর সাপাহারে বেসরকারি দুই টেলিভিশনের সাংবাদিক ও ক্যামেরাম্যানকে সন্ত্রাসী কায়দায় পেটানোর ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর ৫ জন কে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। উল্লেখযোগ্য যে জেলার সাপাহার উপজেলা সদরের শাহজাহন আলী ও ওসমান গনি বাবুর মধ্যে গিয়াস মার্কেটের একাংশ জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিলো। শাহজাহান আলী তার কিছু লোকজন নিয়ে ওই মার্কেট গত সোমবার দুুপরে দখল নেয়। এরুপ ঘটনার সংবাদ পেয়ে গত বুধবার দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রেসকাবের সভাপতি চ্যানেল আই এর জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক ইমরুল কায়েশ ও এটিএন বাংলার প্রতিনিধি সাংবাদিক রায়হান আলম ঘটনা স্থলে এসে উভয় পে সাাতকার গ্রহণ শেষে দখলকৃত জায়গার ফুটেজ নিতে গেলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নামধারী কতিপয় সন্ত্রাসী সম্পুর্ন সন্ত্রাসী কায়দায় সাংবাদিক রায়হান আলমের উপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারপিট সহ জোর পূর্বক তার হাত থেকে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। এর পর সাংবদিকদ্বয় মার্কেটের দখলদার শাহজাহান আলীর সরনাপূর্ন হলে তিনি পুলিশের মাধ্যমে ছিনিয়ে নেয়া ক্যামেরাটি উদ্ধার করে দেন। পরে সাংবাদিকগন সাপাহার থানার আশ্রয় নিলে বিষয়টি মিমাংসার জন্য দখলকৃত জায়গার মালিক শাহজাহন আলী ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শামসুল আলম শাহ চৌধুরী কতিপয় লোকজন সাথে নিয়ে তার অফিস কে এক শালিস বসায়। পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকগনের যৌথ আলোচনা শেষে সন্ধ্যা ৭টার দিকে মিমাংসার ফলাফল হিসেবে সাংবাদিক লাঞ্চিত দুস্কৃতকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে সাপাহার থানায় একটি মামলা দয়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পর পুলিশ ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নামধারী আনু, নুর আলম পিংকি, বাবু সরকার, আমিন ও মোখলেছুর রহমান নামের ৫ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে পুলিশ হাজতে আটকে রাখে এবং বৃহস্পতিবার আটককৃতদের নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।