ফোর জি সেবার লাইসেন্স নিতে আবেদন করেছে পাঁচটি মোবাইল ফোন অপারেটর, এর মধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া সিটিসেলও রয়েছে। চতুর্থ প্রজন্মের (ফোর-জি) ইন্টারনেট সেবার জন্য পাঁচটি মোবাইল ফোন অপারেটর আবেদন করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।রোববার বিকেলে রমনায় বিটিআরসি ভবনে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ একথা জানান।তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, শেষ পর্যন্ত ফোর-জি সেবা শুরু করতে যাচ্ছি। লাইসেন্সের জন্য শেষ সময় (রোববার) বেলা ১২টা পর্যন্ত পাঁচটি সংগঠনের কাছ থেকে আবেদন পাওয়া গেছে। ফোর-জি’র জন্য টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড, প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম (সিটিসেল), বাংলালিংক, গ্রামীণফোন ও রবি আবেদন জমা দিয়েছে। আর তরঙ্গ নিলামের জন্য সিটিসেল, বাংলালিংক, গ্রামীণফোন ও রবি আবেদন করেছে।

তবে বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠান চাইলে এখনও আবেদন করতে পারবে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান। আগামী মার্চের মধ্যে ফোর-জি সেবা চালু করা সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ রোববার বিটিআরসি কার্যালয়ে চতুর্থ প্রজন্মের (ফোর জি) সেবা লাইসেন্স নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।আগামী মার্চ শেষে দেশে প্রাথমিক পর্যায়ে ফোর জি সেবা চালু করার আশাও প্রকাশ করেন তিনি।ফোর জির লাইসেন্সের আবেদন করার শেষ দিন ছিল রোববার।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, এ পর্যন্ত ৫টি সংগঠনের কাজ থেকে দরখাস্ত পেয়েছি। টেলিটক, সিটিসেল, বাংলালিংক, গ্রামীণফোন ও রবি আজিয়াটা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পর টেলিযোগাযোগের ফোর জি সেবার লাইসেন্স ও তরঙ্গ নিলামের নীতিমালা ২৯ নভেম্বর হাতে পায় টেলিযোগাযোগ বিভাগ।তরঙ্গ বরাদ্দের জন্য গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও সিটিসেল আবেদন করেছে বলেও জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান। ফোর জি লাইসেন্স ও তরঙ্গ নিলামের আবেদন যাচাইয়ে দুটি মূল্যায়ন কমিটি করা হয়েছে। তারা আগামী ২৩ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন কমিশনের কাছে দাখিল করবে। ফোরজি লাইসেন্স আবেদন যাচাইয়ের পর কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রতিবেদনটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠানো হবে।সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদনের পর আগামী ১৩ ফেব্র“য়ারি তরঙ্গ নিলামের পরদিনই অর্থ জমা দেওয়ার সাপেক্ষে ফোর জি লাইসেন্স হস্তান্তর করা হবে বলে জানান বিটিআরসি প্রধান।আগামী মার্চ শেষে নাগাদ ফোর জি সেবা শুরুর আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, অপারেটররা ফোর জি সেবা দিতে প্রস্তুতি নিয়েছে এবং খুব দ্রুত তারা এ সেবা দিতে পারবে।