তাবিথ আউয়ালই পেলেন বিএনপির মনোনয়ন। দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে লড়বেন তিনি। ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত ওই সিটির প্রথম নির্বাচনে বিএনপির সমর্থন পেয়েছিলেন তিনি। ঢাকা উত্তর সিটির প্রথম নির্বাচনে ‘বাস’ প্রতীক নিয়ে লড়াই করেছিলেন তাবিথ আউয়াল। সোমবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। এর আগে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়। মেয়র পদে বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছিলেন পাঁচজন। অন্যরা হচ্ছেন বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান, বিএনপির সহ-প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক শাকিল ওয়াহেদ এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি এম এ কাইয়ুম।

যদি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন আন্তরিক হয় তাহলে তাবিথ আউয়াল জনগণের বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএন‌পির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহ‌সচিব রুহুল ক‌বির রিজভী আহ‌মেদ। আজ মঙ্গলবার বেলা সা‌ড়ে ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্ট‌নে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যাল‌য়ে আয়োজিত এক সংবাদ স‌ম্মেল‌নে রিজভী এ মন্তব্য ক‌রেন।

বিএনপির এই নেতা ব‌লেন, ‘বিগত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও তিনি (তাবিথ আউয়াল) বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সে সময় তিনি নির্বাচনি প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিলেন। জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে তিনি নারী-পুরুষসহ সাধারণ ভোটারদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁর প্রচারণায় মুগ্ধ হয়েছিলেন ঢাকাবাসী। কিন্তু যদি বিগত নির্বাচনটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতো, যদি ভোট ডাকাতি না হতো তাহলে তাবিথ আউয়াল বিপুল ভোটে বিজয়ী হতেন। আপনারা দেখেছেন মাত্র দুই ঘণ্টার ভোটে তাবিথ আউয়াল তিন লাখের অধিক ভোট পেয়েছিলেন। ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা ভোটের বাকি সময়ে ভোটকেন্দ্র দখল করে জাল ভোটের মহৌৎসব চালিয়ে তৎকালীন নির্বাচন কমিশনের সহায়তায় মাত্র অল্প ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করে।’

বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার-নির্যাতন চলছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘যেভাবে খালেদা জিয়াকে সপ্তাহের অধিকাংশ দিন মিথ্যা মামলায় হাজিরা দিতে হচ্ছে এবং প্রতিদিন তাঁকে জামিন নিতে হচ্ছে, এসব অনাচারমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সরকার আদৌ সুষ্ঠু করবে কি না, তা নিয়ে জনমনে সংশয় রয়েছে।’

বর্তমান ইসির অধীনে হওয়া সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোকে প্রহসন উল্লেখ করে আসন্ন ডিএনসিসি নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে দ্রুত লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির উদ্যোগ নিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান রুহুল কবির রিজভী। তিনি ইসির উদ্দেশে বলেন, ‘রাজনৈতিক সহাবস্থান তৈরি করার পদক্ষেপ নিন। ধানের শীষের প্রার্থী ও সমর্থকরা যাতে নির্ভয়ে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারে সে ব্যবস্থা নিন। সেনাবাহিনী মোতায়েন করে ভয়-ভীতিমুক্ত নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করুন। কারণ এখন পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে সুষ্ঠু পরিবেশের কোনো আলামত নেই।’