চাঁপাইনবাবগঞ্জর নাচোলে টেন্ডার ছাড়াই ডাকবাংলো পরিষদের বেশ কয়েএকটি গাছ কর্তন করা হয়েছে।চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ও নাচোল যুবলীগ নেতা রয়েল বিশ্বাসের নির্দেশে ডাকবাংলো পরিষদের এসব গাছ কর্তন করা হয়।টেন্ডার ছাড়াই ডাকবাংলো পরিষদের গাছ কর্তনের ঘটনায় ৪জন কে আটক করেছে নাচোল থানা পুলিশ।সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে,শুক্রবার সকাল ৮টায় উপজেলার কাজলা গ্রামের আবু তালেবের ছেলে সুফিয়ান(৩৫),একই গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে বাবলু(৫০),আব্দুল গোফরের ছেলে দুরুল (৩৮),মকবুল হোসেনের ছেলে শরিফুল ইসলাম(২৩) ও বশির নামের অপর ব্যাক্তি ডাকবাংলো পরিষদের ভেতরে একটি মরা শিশু গাছ কাটতে শুরু করলে ডাংকবাংলো পরিষদের নিয়োজিত কেয়ারটেকার কেরামত আলী তাদের গাছ কাটতে বাঁধা দিলে বশির নামের এক ব্যাক্তি কেয়ারটেকার কে জানান,আমরা রয়েল বিশ্বাসের লোক,আমরা জেলা পরিষদের টেন্ডার নিয়ে গাছ কাটছি।পরে টেন্ডারের বিষয়টি সন্দেহ হলে,কেয়ারটেকার জেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের অবহিত করেন।জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার টেন্ডার ছাড়াই নাচোল ডাকবাংলো পরিষদের গাছ কর্তনের বিষয়টি তাৎক্ষনিক নাচোল থানা পুলিশ কে অবহিত করেন।পরে নাচোল থানা পুলিশ ডাংকবাংলোর ভেতরে গাছ কাটা অবস্থায় ঐ৪জন কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।তবে বশির নামের এক ব্যাক্তি পলাতক রয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সদস্য রয়েল বিশ্বাসের সাথে যোগাোযাগ করা হলে তিনি জানান,আমি জেলা পরিষদের একজন সদস্য।নাচোল ডাংকবাংলো পরিষদের ভেতর পরিষ্কার করার লক্ষ্যে গাছ গুলো কাটার জন্য আমি নির্দেশ দিই।গাছগুলো কেটে পরে টেন্ডার দেওয়া হবে বলে তিনি জেলা পরিষদ কে পূর্বে অবহিত করেন।তাছাড়া আমি নিজ খরচে ডাংকবাংলো পরিষদের ওয়াল নির্মান করেছি।কোন স্বার্থনেসী মহল রাজনৈতিক ভাবে আমাকে হেয়প্রতিপূর্ন করার জন্য বিষয়টি নিয়ে উসকানি দিয়ে বেড়াচ্ছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে নাচোল থানার ওসি চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে জেলা পরিষদের কর্তৃপক্ষ মামলা দ্বায়ের করলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ডাকবাংলো পরিষদের কর্তনকৃত গাছ গুলো জব্দ করা হয়েছে বলে জানান।