স্বামীর পরকিয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় পারিবারিক নির্যাতনের এক পর্যায়ে গৃহবধু জেসমিনের (২২) রহস্য জনক মৃত্যু হয়েছে। নিহত জেসমিন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের প্রতিরাজপুর গ্রামের আকবর হোসেনের মেয়ে। এ ঘটনার পর থেকে নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানার আস্তিকপাড়ার দুলাল প্রামানিকের ছেলে পাষন্ড স্বামী আশাদুল ইসলাম লালন পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।
সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, জেসমিন গুরুত্বর অসুস্থ্যবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাত পৌনে ১০টার দিকে মারা যায়। পাবনা সদর থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠিয়েছে। ময়না তদন্ত সম্পূর্ণ হলে প্রকৃত মৃত্যু রহস্য উন্মোচন হবে বলে তিনি জানান।
নিহত জেসমিনের দুলাভাই নাজমুল হোসেন জানান, স্বামীর পরকিয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় জেসমিনকে প্রায়শঃ নির্যাতন করতো তার স্বামী আশাদুল ইসলাম। মাঝে মধ্যে স্বামীর বাড়ী থেকে পিটিয়ে তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হতো বাড়ীতে। এরই এক পর্যায়ে গত রোববার স্বামীর খাওয়ানো গ্যাস ট্যাবলেটে জেসমিন অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে করা হয় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা গেছে।