ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৬ হাজার রানের মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। আর ৬৬ রান করলেই প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ওয়ানডেতে ৬ হাজার রান পূর্ণ করবেন তামিম। এছাড়া আরও একটি বিশ্বরেকর্ড গড়ার সামনে দাঁড়িয়ে তামিম। একই ভেন্যুতে অর্থাৎ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সবচেয়ে বেশি রান করার জন্য তামিমের প্রয়োজন ৪২ রান। ত্রিদেশীয় সিরিজের পঞ্চম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ৬৬ রান করলেই দু’টি রেকর্ড একসাথে স্পর্শ করতে পারবেন তামিম। অথবা ৪২ রান করলেও বিশ্বরেকর্ডের মালিক হবেন তিনি। সোমবার মিরপুরে অনুশীলন শেষে বাংলাদেশ দলের এ ওপেনার বলেন, আমার কাছে মনে হয় প্রথম যে ম্যাচ খেলছিলাম ওটাতে একটু দর্শক কম ছিল। বাট সেকেন্ড ম্যাচের সময় বেশ ভালোই দর্শক ছিল। মানুষজনের এক্সপেকটেশনও অনেক বেড়ে গেছে এটাই সত্য কথা। আমার কাছে মনে হয় যে ক্রিকেট সবাই ভালোবাসে। আমরা যখন শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এত দর্শকের আন্ডারে খেলেছি, ভালো খেলেছি। আমাদের কাছেও এটা খুব ইনস্পায়ারিং। আমাদের কাছে জিনিসটা ভালো লাগে।

চলতি ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম দু’ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অপরাজিত ৮৪ ও শ্রীলংকার বিপক্ষে ৮৪ রানের দু’টি ইনিংস খেলেছেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা তামিম। আগামীকাল আরও বড় ইনিংস খেলে বাংলাদেশের হয়ে দু’টি রেকর্ড গড়লে অবাক হবার কিছুই থাকবে না।ক্রিকেট বিশ্বে একই ভেন্যুতে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রান করার জন্য ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরুর আগে তামিমের প্রয়োজন ছিলো ২১০ রান। প্রথম দু’ম্যাচে মিরপুরের ভেন্যুতে ১৬৮ রান করে ফেলায় রেকর্ড স্পর্শ করার কাছেই চলে এসেছেন তামিম। তবে ইতোমধ্যে পাকিস্তানের ইনজামাম উল হককে ছাড়িয়ে গেছেন তামিম।একই ভেন্যুতে সবচেয়ে বেশি রান করার বিশ্বরেকর্ডের মালিক এখন শ্রীলংকার সাবেক অধিনায়ক সনাথ জয়সুরিয়া। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ৭১ ম্যাচের ৭০ ইনিংসে ২৫১৪ রান করেছেন তিনি। একই ভেন্যুতে সবচেয়ে বেশি রান এটিই।

ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে এই তালিকায় দ্বিতীয়স্থানে ছিলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম-উল-হক। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৫৯ ম্যাচের ৫৯ ইনিংসে ২৪৬৪ রান করেছেন তিনি। তবে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম দু’ম্যাচে ১৬৮ রান করায় ইনজামামকে টপকে ২৪৭৩ রানের মালিক এখন তামিম। জয়সুরিয়াকে টপকে যেতে তামিমের প্রয়োজন এখন ৪২ রান।ত্রিদেশীয় সিরিজে শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১১ হাজার রান পূর্ণ করেছেন তামিম। এ ব্যাপারে আজ তামিম বলেন, মাইলফলকগুলো ভালো লাগে। কেউ দশ হাজার রান করলে এটা অবশ্যই মাইলস্টোন। জানি না কয়জন করছে। সাকিবের ১০ হাজার হয়েছে, মুশফিক সব মিলিয়ে ৩০০ ম্যাচ খেলেছে। এটাও মনে হয় না যে খুব বেশি মানুষ করেছে। আমাদের কাছে ব্যক্তিগতভাবে ভালো লাগে যেটা দ্যাট ইন্ডিভিজ্যুয়াল ফিলস গুড।একই ভেন্যুতে সবচেয়ে বেশি রান করার দৌড় আছেন বাংলাদেশের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও। জয়সুরিয়াকে টপকে যেতে সাকিবের আরও লাগবে ১৯৬ রান। ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম দু’ম্যাচে ৩৭ ও ৬৭ রান করেন সাকিব। এই টুর্নামেন্টে এই ভেন্যুতে এখনও বাংলাদেশের তিনটি ম্যাচ রয়েছে। এই তিন ম্যাচে সাকিব এই অর্জনের সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন, এটি বলার অপেক্ষা রাখে না।