বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কোনও রিট হবে না। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় কোনও ঝামেলা হবে না। সেটা ঠিকঠাক করবে। কারণ এখানে নিজেদের লোক বসানো হবে। সেখানে সব সাজানো গোছানো। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আরাফাত রহমান কোকোর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য একটাই, ফাঁকে-ফোকড়ে ক্ষমতায় টিকে থাকা। আর টিকে থাকতে গুম, খুন যা কিছু করা লাগে করবে। খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকো রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। ছেলের কবরের পাশে মা যাবে, তাও আদালতে হাজিরা দেওয়ার পর এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করেছে শেখ হাসিনা।নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, আগামী নির্বাচন নির্দলীয় এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। চোরের মায়ের বড় গলার এই সরকারকে জনগণ তালাক দিয়েছে। গরু ছাগলের ভোটে নির্বাচিত সব এমপি। সরকার আগামী নির্বাচন নিয়ে মাস্টারপ্ল্যান করেছে। আরেকটি ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাস্টারপ্ল্যান।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন যে, তারা প্রতিদ্বন্দ্বী চান, আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, তারা প্রতিদ্বন্দ্বী চান না। ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে বিএনপি নাকি ৮ শতাংশ ভোটও পাবে না। ভোট দিচ্ছেন না কেন? ভোট দিন। আপনারা ভোট দিতে ভয় পাচ্ছেন কেন? সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আপনারাই ৮ শতাংশ ভোট পাবেন না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সহজে নির্বাচন দেবে না। তারা ভালো করেই জানে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাদের ভরাডুবি হবে। আর ভরাডুবি হলে তাদের কী অবস্থা হবে, তা জনগণ জানে। সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ বিধান বাতিলের ব্যাপারে যুগ্ম মহাসচিব বলেন, তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক বলেছিলেন, এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় আরও দু’টি নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যাবে। সেই কথা তো আমলে নেননি। সহায়ক সরকারের রূপরেখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যখন রাজনৈতিক সুবিধা হবে তখন আমরা সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেবো। সরকারের চার বছরের উন্নয়ন কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপনারা উন্নয়ন উদযাপন করেছেন। কিসের উন্নয়ন? এরশাদ সরকারও উন্নয়ন উদযাপন করেছিল, তাকেও বিদায় নিতে হয়েছে।