আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের অদূরে মার্শাল ফাহিম জাতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গিদের অতর্কিত হামলায় কমপক্ষে ৫ সৈন্য নিহত এবং ১০ সৈন্য আহত হয়েছে। এছাড়া হামলাকারী ৪ জঙ্গিও নিহত হয়েছে। অপর এক সশস্ত্র জঙ্গিকে সৈন্যরা হাতেনাতে আটক করেছে। জঙ্গি গোষ্ঠি ইসলামিক স্টেট (আইএস) তাদের নিজস্ব নিউজ এজেন্সি ‘আমাক’-এর মাধ্যমে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।সোমবার (২৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোর ৫টার দিকে রাজধানী কাবুলের পাশের কারগা এলাকায় এই হামলা চালানো হয়। হামলা শুরুর পরপরই ঘটনাস্থল দফায় দফায় গ্রেনেডের বিকট বিস্ফোরণ ও মুহুর্মুহু গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে। হামলাকারী জঙ্গিদের মধ্যে ৪জন নিহত হয়েছে। অপর এক জঙ্গিকে অস্ত্রসহ হাতেনাতে আটক করেছে সৈন্যরা। নিহত ৪ জঙ্গির মধ্যে দুজন মারা গেছে আত্মঘাতী হামলার সময়। বাকি দুজনের মৃত্যু হয়েছে সৈন্যদের গুলিতে। মাত্র একদিন আগেই (শনিবার) কাবুলে বিস্ফোরকবোঝাই অ্যাম্বুলেন্সের সাহায়্যে এক ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলা চালায় তালেবান জঙ্গিরা। এতে শতাধিক মানুষ নিহত এবং দেড়শর বেশি মানুষ আহত হয়।আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেনারেল দৌলত ওয়াজিরি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে জানান, মোট ৫ জন জঙ্গি সোমবার ভোরবেলা এই অতর্কিত হামলাটি চালায়। আত্মঘাতী হামলা এবং সৈন্যদের গুলিতে ৪ জঙ্গি মারা গেছে। একজনকে অস্ত্রসহ পাকড়াও করা হয়েছে। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে একজন বহুক্ষণ একাই লড়াই চালিয়ে যায়। হতাহত সৈন্যদের সবাই প্রধান ফটকের কাছে প্রহরায় নিয়োজিত ছিল। দৌলত ওয়াজিরি আরও জানান, সামরিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে পাহারায় নিয়োজিত সেনা ইউনিটের ওপর প্রথমে একজন জঙ্গি হ্যান্ড গ্রেনেডের সাহায্যে আত্মঘাতী হামলা চালায়। এরপর অন্য জঙ্গিরা তাতে যোগ দেয়। হামলায় কমপক্ষে দুজন সৈন্যের মৃত্যু হয়। অতর্কিত হামলার মুখে সৈন্যরা প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুললে দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয় তুমুল বন্দুকযুদ্ধ।হামলাকারী জঙ্গিদের সবাই রকেটচালিত গ্রেনেড লঞ্চারসহ বিভিন্ন অত্যাধুনিক অস্ত্রসজ্জিত ছিল। জঙ্গিদের কেউই প্রধান ফটক পার হয়ে বেশি দূর অগ্রসর হতে পারেনি।