যশোর কোতয়ালী থানা থেকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত হওয়া এএসআই শাহ আলমকে দুইদিনের পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে আদালত। দশ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে রুজু হওয়া মামলায় পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
গত ২৬ জানুয়ারি ডিবি পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড চেয়েছিল। মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. শাহিনুর রহমান তাকে দুইদিনের হেফাজতে দেন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইনসপেক্টর রেজাউল করিম।
এর আগে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে পুলিশ সদস্য ও কথিত এক সোর্সের বিরুদ্ধে ঝিকরগাছা থানায় একটি মামলা হয়। ঘটনার দিনই এএসআই শাহ আলমকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। ঝিকরগাছা থানায় রুজু হওয়া মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান ডিবি পুলিশের এসআই আবুল খায়ের মোল্লা।
প্রসঙ্গত, গত ১ জানুয়ারি বেনাপোলের রোশা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের গাড়িযোগে নগদ টাকা যশোরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ঝিকরগাছার বেনেয়ালী এলাকায় সাদা পোশাকে থাকা কয়েক ব্যক্তি গাড়িটি থামায়। তারা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে গাড়ি তল্লাশি করে। গাড়িতে থাকা ৩০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টাও করেন তারা। এর মধ্যে তারা দশ লাখ টাকার মতো ছিনতাই করতে সক্ষম হন বলে অভিযোগ আনা হয়। এসময় পুলিশ পরিচয়দানকারী ও টাকা বহনকারীদের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও ধস্তাাধস্তি হয়।একপর্যায়ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে সাদা পোশাকধারীদের ঘিরে ফেলে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে কোতয়ালী থানার এএসআই শাহআলম টাকার একটি ব্যাগ নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে দ্রুত ঝিকরগাছার দিকে পালিয়ে যায়। বাকি তিনজনকে স্থানীয়রা আটক করে ঝিকরগাছা থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন।