অবৈধ,অন্যায় ও গণবিরোধী কাজ করে পার পাওয়ার অভিসন্ধি থেকে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো ‘কালো আইন’ প্রণয়ন করতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।

বৃহস্পতিবার পুরানা পল্টনের মুক্তিভবনে সিপিবি কার্যালয় ‘গণবিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রত্যাহার কর’ শিরোনামে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ‘সংবিধানের পরিপন্থি’ আখ্যা দিয়ে সেলিম বলেন, শুধু বেআইনি না, অমানবিক এবং গণবিরোধী কার্যকলাপের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য..পরোক্ষভাবে বেআইনি- অন্যায় কাজে ইনডেমনিটি পাওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য সরকার এই পদক্ষেপ দিয়েছে।তিনি বলেন, এই আইন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার সব গণআন্দোলনের ইতিহাস এবং স্বৈরাচারী আন্দোলনে শহীদের সাথে সরকার বিশ্বাসঘাতকতা করার পদক্ষেপ নিয়েছে।আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারাকে ‘কালাকানুন’ আখ্যা দিয়ে সিপিবি সভাপতি বলেন, ওই আইনের কোথায় কোথায় সংশোধন করতে হবে- সে বিষয়ে সুপারিশ ও পরামর্শগুলোর তোয়াক্কা না করে বিপরীতমুখী নতুন বিধান যুক্ত করে এবং বিচ্ছিন্ন ধারাগুলো একজায়গায় করে আইন হচ্ছে।কালাকানুন দূর হবে আশা করেছিলাম, কিন্তু সরকার কালো আইনের বদলে কুচকুচে কালো আইন জাতিকে উপহার দিচ্ছে।

তথ্য অধিকার আইনের সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রস্তাবনা ‘সাংঘর্ষিক’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।লিখিত বক্তব্যে বাম মোর্চার নেতা ও গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে যে খসড়া অনুমোদিত হয়েছে তা গণতান্ত্রিক অধিকারকে আরও সংকুচিত করার ক্ষেত্রে শাসকদের হাতে শক্তিশালী অস্ত্র তুলে দিল।উন্নয়নের প্রবল হট্টগোলে গণতন্ত্র যখন হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম তখন উন্নয়ন আর দুর্নীতির মেলবন্ধনকে নিরাপদ করতে এই আইন ব্যবহৃত হবে।সম্পূর্ণভাবে আমলাতন্ত্রের উপর ভর করে ক্ষমতাসীন সরকারের ইচ্ছা বাস্তবায়ন ও নিয়ন্ত্রণ কঠোর করার লক্ষ্যেই এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এই আইনটি পাস হলে মতপ্রকাশের যে সামান্য সুযোগ আছে তা আরও সংকুচিত করে ফেলবে।সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।