বিএনপি নেতাকর্মীদের নয় বরং ছবি দেখে দেখে পুলিশের উপর হামলাকারীদের ধরার চেষ্টা করছেন বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি। এ সব আটকের পেছনে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই বলেও দাবি করেন তিনি।শনিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ ২০১৮-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় হাজিরা দিয়ে গত ৩০ জানুয়ারি খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায় ফেরার পথে হাইকোর্ট এলাকায় বিএনপির কর্মীরা হামলা চালায় বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। প্রিজনভ্যানে উঠে পুলিশের হাতে আটক দুজনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ করেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় রমনা ও শাহবাগ থানায় বিশেষ আইনে ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে তিনটি মামলাও হয়েছে।তবে পুলিশের গাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও প্রিজনভ্যান থেকে আটক দুই ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িতরা ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলে মন্তব্য করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই পরের দিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দিবালোকের মতো পরিষ্কার। অনুপ্রবেশ নয়, এটা পূর্বপরিকল্পিত জঙ্গি স্টাইলের হামলা। যে হামলা পারপেটরেট করেছে, মাস্টার মাইন্ড হচ্ছে বিএনপির নেতৃবৃন্দ। তাঁরাই করেছেন এটা।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘নির্বাচন তো অনেক দূরে রয়েছে। তাঁর আগেই আপনারা দেখেছেন খালেদা জিয়া, বিচারকার্যের জন্য যে যাচ্ছেন, সেখানে যাওয়ার পথে আসার পথে, যে ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে এবং আপনারা দেখেছেন পুলিশের রাইফেল ভেঙে ফেলেছে। আপনারা দেখেছেন যে প্রিজন ভ্যান থেকে আসামিদের ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছে। কাজেই আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে যারা এগুলো করেছেন তাদের আমরা ধরার প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। এখানে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নাই। এটা আমরা সন্ত্রাসীদের ধরছি।নির্বাচন থেকে বিএনপিকে দূরে রাখতে গণগ্রেপ্তার চালানো হচ্ছে এমন অভিযোগ ঠিক নয় বলেও দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।নাগরিকদের পাসপোর্ট পেতে যাতে কোনো হয়রানির সম্মুখীন না হতে হয় সেই লক্ষ্যে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের আধুনিকায়নের কাজ চলছে বলেও জানান আসাদুজ্জামান খান কামাল।