চলমান এসএসসি ও সমমানের বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের প্রেক্ষাপটে করণীয় নির্ধারণে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন তিনি। রোববার সচিবালয়ে এক জরুরি সভার পর শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এই যে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করার যারা হোতা, যারা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সে ধরনের যারা অপরাধী তাদেরকে ধরিয়ে দিতে পারলে, চিহ্নিত করে দিতে পারলে, সঠিক প্রমাণিত হলে ৫ লাখ টাকা পুরষ্কার দেওয়া হবে।কমিটির বিষয়ে তিনি বলেন, পরীক্ষার সময় যেসব প্রশ্ন ওঠেছে যে (প্রশ্ন) ফাঁস হয়েছে সেটা ঠিক বা ভুল এসব বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই করে এবং তার ফলে পরীক্ষার্থীদের উপর কী প্রভাব পড়েছে, কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছ কী হয় নাই, এসব মিলিয়ে পরীক্ষাটাকে কীভাবে ‍মূল্যায়ন করা যায় সেটা মূল্যায়ন করে পরীক্ষা সম্পর্কে সুপারিশ করবেন, এজন্য একটি কমিটি আমরা করে দিচ্ছি।এই কমিটি এসএসসি ও সমমানের পুরো পরীক্ষা ‘মনিটর’ করবেন বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীকে ধরিয়ে দিতে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস যে বা যারা করছে, তাদের ধরিয়ে দিলে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।’ রবিবার (৪ ফেব্র“য়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে মন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।এর আগে, ১ ফেব্র“য়ারি থেকে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষার বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে কিনা এবং প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে থাকলে এই দুই পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করা হবে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে যে দু’টি বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেই দু’টি বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে কিনা, তা যাচাই-বাছাই করে দেখতে ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেনÑমাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব জাভেদ আহমেদ ও যুগ্ম সচিব (মাধ্যমিক) সালমা জাহান। এছাড়া, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি) এবং আইনশৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা বাহিনীর প্রতিনিধিরাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।