ঢাকা মহানগরীর সড়কগুলোতে অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা ভিআইপিদের জন্য আলাদা লেন করার প্রস্তাব দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।এ সংক্রান্ত একটি চিঠি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক বিভাগে পাঠানোহয়েছে।সোমবার মন্ত্রিপরিষদের সভা শেষে আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের কাছে খবরটির সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।

জবাবে সচিব সাংবাদিকদের বলেন, এ ধরনের একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে ভিআইপিসহ জনগুরুত্বপূর্ণ সেবা যেমন অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির জন্য আলাদা লেন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে আছে।এ ধরনের প্রস্তাব করার কারণ জানতে চাইলে সচিব বলেন, ভিআইপিদের অনেক সময় জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত যাওয়া আসা করতে হয়। অনেক সময় দ্রুত যাওয়ার জন্য তাঁরা উল্টা পথে যান। অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়িরও দ্রুত যাওয়া প্রয়োজন হয়। কিন্তু উল্টা পথে গেলে ঝামেলা তৈরি হয়। এজন্যই এ ধরনের আলাদা একটি লেন করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।প্রস্তাবে বলা হয়েছে, উন্নত বিশ্বের অনেক দেশেই জরুরি প্রয়োজনে যাতায়াতকারী সেবা সংস্থাগুলোর যানবাহন ও ভিআইপিদের যানবাহন দ্রুত আসা যাওয়ার জন্য একটি পৃথক লেন থাকে। দেশে যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। প্রয়োজনের তুলনায় রাস্তা কম। ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি দ্রুত যাতায়াত করতে পারে না।

আর সে কারণেই ভিআইপিসহ সেবা সংস্থাগুলোর গাড়ির জন্য আলাদা লেনের প্রস্তাব করা হয়েছে।ঢাকার রাস্তায় নিয়ম না মেনে প্রায়ই উল্টো পথে গাড়ি চলতে দেখা যায়। যার কারণে সৃষ্টি হয় যানজট বা সড়ক দুর্ঘটনা। এ ছাড়া উল্টো পথে গাড়ি চালানোর সময় প্রায় আটক করা হয় ভিআইপিদের গাড়ি। যা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন ভিআইপিরা। এদিকে, জেল জরিমানার বিধান রেখে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন আইন-২০১৮ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিপরিষদ। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ সভায় এই বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।শফিউল আলম বলেন,এটি মূলত ১৯৬১ সালের একটি অধ্যাদেশ। ১৯৭৫-৭৬ সালে দুই দফায় অধ্যদেশটি সংশোধন করা হয়। এখন এটাকে আইন করা হলো। আইনে বিভিন্ন অপরাধের জন্য সর্বনিম্ন ৬ মাসের জেল ও নূন্যতম ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) প্রধান ব্যক্তি হবেন চেয়ারম্যান। তার নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদে ১৬ জন সদস্য থাকবেন। যাদের মধ্যে ৫ জন সার্বক্ষণিক পরিচালক থাকবেন। করপোরেশনটি ২৬ ধরনের কাজ করবে। কাজের মধ্যে রয়েছেÑবীজ ব্যবস্থাপনা,সেচ ব্যবস্থাপনা এবং সার ব্যবস্থাপনা। প্রতি তিন মাসে এ পর্ষদকে কমপক্ষে একটি সভা করতে হবে।আইনের ২৮ ধারা অনুযায়ী,কেউ বিএডিসির নোটিশ অমান্য করলে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। পরে একই অপরাধ করলে প্রতিদিন ৫০ টাকা হারে জরিমানা দিতে হবে।

৩০ ধারায় বলা হয়েছে, বিএডিসির কোনও জমির সীমানা, বেড়া, দেয়াল বা প্রাচীর নষ্ট করলে এবং আদেশ অমান্য করলে সর্বনিম্ন ৬ মাসের জেল, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ড দেওয়া হবে। ৩১ ধারায় বলা হয়েছে, বিএডিসি নিযুক্ত কোনও ঠিকাদারকে কাজে বাধা দিলে বা নিপীড়ন করলে দায়ী ব্যক্তিকে সর্বনিম্ন ৬ মাসের জেল, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ড দেওয়া হবে।৩২ ধারায় বলা হয়েছে, বিএডিসি অননুমোদিত জমিতে চাষাবাদ করলে সর্বনিম্ন ৬ মাসের জেল, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ড দেওয়া হবে। তবে করপোরেশনের চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের লিখিত অনুমোদন ছাড়া কেউ এ আদালত পরিচালনা করতে পারবেন না।