২০১৪ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে জিম্বাবুয়েকে তিন টেস্টের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। এরপর ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ জেতা হয়নি। অবশ্য ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মতো দুই শক্তিশালী দলকে টেস্ট ম্যাচে হারানোও কম কথা নয়। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়ের লক্ষ্য মাহমুদউল্লাহর। শেষ টেস্ট শুরুর আগের দিন বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে আত্মবিশ্বাস ধ্বনিত হলো তার কণ্ঠে। বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, অবশ্যই আমাদের টেস্ট সিরিজ জেতার সুযোগ আছে। প্রথম টেস্টে অনেক কঠিন পরিস্থিতির সামনে দাঁড়িয়ে আমরা ড্র করেছি। ২০১৪ সালের পর টেস্ট সিরিজ জিততে পারিনি, তবে এবার আমাদের সামনে ভালো সুযোগ।ঘরের মাঠে আমরা ভালো দল। সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে আমাদের হারানো কঠিন।’ভালো দল হলেও ঘরের মাঠে বাংলাদেশের ওপরে চাপ থাকবেই। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য চাপ-তত্ত্ব মেনে নিতে নারাজ, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যে কোনও ম্যাচেই চাপ থাকে। দলের সবার নিজের ওপরে আস্থা আছে। আমরা প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জ নিতে উদগ্রীব। মাঠে ইতিবাচক থেকে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাই। খেলোয়াড়রা ইতিবাচক চিন্তা নিয়ে মাঠে নামলে তার সুফল পাওয়া যাবেই।

চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশকে সবচেয়ে সমস্যায় ফেলেছে ফিল্ডিং। অন্তত সাত-আটটি সুযোগ নষ্ট করেছেন স্বাগতিক ফিল্ডাররা, আর সেগুলো কাজে লাগিয়ে শ্রীলঙ্কা গড়েছে রানের পাহাড়। মিরপুরে এ ব্যাপারে বাড়তি সতর্ক সাকিবের অনুপস্থিতিতে টাইগারদের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক, চট্টগ্রাম টেস্টে শুরুতে আমরা কয়েকটা সুযোগ তৈরি করেছিলাম। দুই-একটা রান আউটের সুযোগও ছিল। সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে ওদের চাপে ফেলা যেতো। এখানে ভিন্ন উইকেট থাকবে। উইকেট থেকে স্পিনাররা বেশি সাহায্য পেলে আমরা একটু উত্তেজিত হয়ে যাই। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে ঠিক জায়গায় বল করতে হবে। সব কিছু ঠিকঠাক হলে আমরা ভালো করতে পারবো।প্রথম টেস্টে ৮৩ আর ২৮ রানের দুটো অপরাজিত ইনিংস এসেছে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে। বাংলাদেশ যে হারের শঙ্কা দূর করে শেষ পর্যন্ত ড্র করেছে, সেজন্য তার অধিনায়কোচিত ব্যাটিংয়ের বড় অবদান। নতুন দায়িত্ব কি আপনাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে?’ প্রশ্নে মুচকি হেসে তিনি বললেন, আমি সব সময় চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি, দায়িত্ব আমাকে বাড়তি কিছু করার প্রেরণা দেয়। হয়তো পরোক্ষভাবে অধিনায়কত্ব আমাকে সাহায্য করছে।’