জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতের রায় ঘোষণার আগে ও পরে নিরাপত্তার কড়াকড়ির মধ্যে রাজপথ অনেকটাই ফাঁকা।বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মোড়ে মোড়ে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছে রাজধানীবাসী; একেবারেই হাতে গোনা গণপরিবহন চলছে সড়কে।পাঠাও ও বাহনের মতো অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সেবাগুলো সাময়িকভাবে বন্ধের নোটিস আগেই গ্রাহকদের জানানো হয়েছিল।ফলে রায় ঘিরে উত্তেজনা আর উৎকণ্ঠার মধ্যে জরুরি প্রয়োজনে রাস্তায় নামা অফিসগামী যাত্রী ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পোহাতে হয়েছে দুর্ভোগ।

খালেদা জিয়ার দুর্নীতির একটি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে ব্যস্ততম নগরী ঢাকায় আজ নেই তেমন ব্যস্ততা। অনাকাঙ্খিত ঘটনার আশঙ্কায় খুব প্রয়োজন ছাড়া আজ নগরবাসী বাইরে বের হচ্ছে না।রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যাও অনেক কম। অনেক স্কুল-কলেজও বন্ধ রয়েছে। ফলে ঢাকা কার্যত ফাঁকা। অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে অ্যাপসভিত্তিক পরিবহন সেবা ‘পাঠাও’, ‘উবার’ ও ‘ইজিয়ার’ বন্ধ রয়েছে।সকাল থেকেই রাজাধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো প্রায় ফাঁকা। ঢাকার প্রবেশমুখ গাবতলী এলাকাও অনেকটা ফাঁকা। ঢাকার বাইরে থেকে দূরপাল্লার গাড়ি আসছে। তবে যাত্রীর সংখ্যা খুবই কম। গাবতলীতে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

এখানকার নিরাপত্তা চৌকিতে দায়িত্বরত দারুসসালাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ফারুকুল আলম বলেন, এখানে সবকিছু স্বাভাবিক আছে। আমরা প্রতিটি যানবাহন তল্লাশি করছি। বাসের লাগেজ বাক্সও তল্লাশি করে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি।তিনি আরও বলেন, গাবতলীর স্থায়ী চেক পোস্ট এটি। সবসময়ই চেকিং করা হয়, তবে আজকে আমরা একটু বেশি নজর রাখছি।গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, পর্যাপ্ত গাড়ি থাকলেও যাত্রীর খুব একটা নেই। তাই গাড়ি ছাড়তে বিলম্ব হচ্ছে। নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি রয়েছে র‍্যাব।

র‍্যাব-২ এর এএসপি সাজেদুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিকের চেয়েও ভালো। তবে মানুষের মধ্যে চাপা আতঙ্ক কাজ করছে। এ কারণে পর্যাপ্ত যানবাহন থাকলেও যাত্রী কম। তাই গাড়ি ছেড়ে যেতে পারছে না। খুব জরুরি কাজ ছাড়া কেউ আসছেন না।

সোহাগ পরিবহনের গাবতলী কাউন্টার ম্যানেজার মঈন উদ্দিন জানান, গাড়ি আছে তবে যাত্রী নেই। পরিবহন মালিক সমিতির অফিসেও কাউকে পাওয়া যায়নি।মিরপুর ৬, ১১, ১০, ১৩ ও ১৪ নম্বর ও ভাষাণটেক এলাকায় অন্যান্য দিন রাস্তায় অনেক গাড়ি থাকে। আজকে রাস্তায় গণপরিবহন খুবই কম। রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাও কম দেখা গেছে। গণপরিবহন কম থাকায় সকালে স্কুল ও অফিসগামীদের রাস্তায় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। টেম্পু ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংখ্যা কিছুটা বেশি। তবে রাস্তায় অসংখ্য পুলিশ ও বিজিবির সদস্যদের দেখা গেছে।ব্যস্ততম এলাকা ফার্মগেট, শাহবাগেও তেমন একটা ভিড় নেই। যানবাহনের সংখ্যাও খুব কম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে গণপরিবহনের সংখ্যা অনেক কম। স্বাভাবিকের তুলনায় আজ পুলিশের উপস্থিতি অনেক বেশি।সদরঘাট ঘুরে একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে। ঘাটে ল দাঁড়িয়ে থাকলেও যাত্রী নেই বললেই চলে। অন্যসব দিন এই সময়ে লোকে লোকারণ্য থাকে সদরঘাট। তবে আজকের চিত্র ভিন্ন।

সকাল ১০টায় এম ভি বিলাল নামে একটি ল ছেড়ে যাওয়ার কথা। ল টিতে দুই-একজন যাত্রী রয়েছে। যাত্রী না থাকলেও ল গুলো সময় মতো সদরঘাট ছেড়ে যাচ্ছে।নৌ পুলিশের ডিআইজি শেখ মোহমাম্মদ মারুফ আছে। সদরঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে। এখনও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।যাত্রী ও ল শ্রমিকরা জানিয়েছে, ভোর ৪-৫টার সময় আসা ল গুলোকে নদীর মাঝ পথেই ট্রলারে করে এসে কিছু লোক বাধা দেয়। তবে এধরনের কোনও খবর পাননি বলে জানিয়েছেন ডিআইজি।ব্যাংক কর্মকর্তা সায়েদুল ইসলাম উত্তরায় সকাল ১০টার অফিস ধরতে ভোর সাড়ে ৬টায় রামপুরা ব্রিজ এলাকা থেকে রওনা হয়েছেন।

তিনি বলেন, গণপরিবহন সঙ্কট হতে পারে, এজন্য অনেক আগেই বাসা থেকে বের হয়েছি। অফিসে গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে। টঙ্গীগামী বাসের অপেক্ষায় আছি, কিন্তু বাসের দেখা নেই।বুধবার রাতে যে বাসগুলো রামপুরা টিভি সেন্টার এলাকায় ছিল, সে বাসগুলোর কর্মীরা বলছে, তারা কুড়িল অবধি যাবে। যেগুলো যাচ্ছে টঙ্গী, সেগুলোতেও তিলধারণের ঠাঁই নেই।মিরপুর যাওয়ার জন্য বাসের অপেক্ষায় রামপুরা উলন রোডে দাঁড়িয়ে ছিলেন শরীফুল ইসলাম। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পরও যানবাহন না পেয়ে বাসায় ফিরে যাওয়ার চিন্তা করছেন বলে জানালেন তিনি।মালিবাগ থেকে ছেড়ে আসা নূর-এ-মক্কা বাসের অপেক্ষা করছি। দু-তিনটি বাস বিপরীত দিকে যেতে দেখলাম। কিন্তু সেগুলো আবার ফিরে মিরপুর যাবে কিনা বুঝতে পারছি না।উল্টোপথে বাড্ডা থেকে মতিঝিল যাচ্ছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান স্বপন।তিনি বলেন, বেশ খানিকটা সময় অপেক্ষা করে তবে বাসের দেখা পেয়েছি। সুপ্রভাত পরিবহনের একটা বাস মধ্য বাড্ডাতেই দাঁড়িয়ে ছিল। ভাগ্যিস খালি বাস পেয়েছি।সকাল ৭টায় চৌধুরীপাড়া এলাকায় কথা হয় শতাব্দী পরিবহনের চালকের সহকারী হাশেমের সঙ্গে।তিনি জানান, উত্তরা থেকে তেমন যাত্রী না পেলেও কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় প্রচুর যাত্রী ছিল। আসনের অতিরিক্ত যাত্রী বহন নিষেধ থাকলেও যাত্রীরা একরকম জোর করেই তার বাসে উঠে গেছে।

মালিবাগ রেলগেইট এলাকায় বাসের অপেক্ষা করছিলেন অনেকে। উত্তরাগামী তুরাগ, অনাবিল, সালসাবিল ও রাইদা পরিবহনের যে বাসগুলো আসছিল, সবগুলো ছিল যাত্রীতে পূর্ণ। সুপ্রভাত পরিবহন গুলিস্তান থেকেই দরজা বন্ধ করে আসছিল।মালিবাগ থেকে বারিধারায় অফিসগামী একটি উন্নয়ন-গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা রাবেয়া খাতুন বললেন, নারী যাত্রীরা বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন।

পুরুষরাও না হয় ঠেলা-ধাক্কা মেরে বাসে উঠে গেল। কিন্তু নারীরা তো পারছেন না। খুব বাজে অবস্থা! অফিস ধরতে হলে রিকশা নেব। কিন্তু রিকশাওয়ালারাও যেতে চাইছে না। রাজি হলেও দ্বিগুণ ভাড়া হাঁকছে।খিলগাঁও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে যাবেন সৌমিত্র। অনেক অপেক্ষার পর তুরাগ পরিবহনের বাসে উঠতে পেরে তিনি বেশ আনন্দিত।এই সকালেই যে বাস একটু ফাঁকা পাব, তা ভাবতে পারিনি। যাক, বাঁচা গেল।তার সঙ্গে কথা বলতে বলতেই পাশের আরেক যাত্রী মোস্তফা হোসাইন জানান, তিনি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাবেন। নতুনবাজার এলাকায় তিনি প্রায় এক ঘন্টা ধরে বাসের অপেক্ষা করেছিলেন।নগরীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় কথা হয়, যাত্রী ইশরাত জাহান ইভা ও ঈসমাইল হোসেন জনির সঙ্গে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এমবিএ শেষ পর্বের পরীক্ষা দিতে তারা যাবেন সায়েন্স ল্যাব এলাকার টিচার্স ট্রেনিং কলেজে। বাসের অপেক্ষায় থেকে তারা অবশেষে রিকশাযোগে রওনা হন।

ইভা বলেন, বাসের অপেক্ষায় থাকলেও আজকে আর পরীক্ষা হলে যেতে হবে না। ভাড়া বেশি চাইছে, তবুও রিকশাই নিলাম। পরীক্ষা ১০টায়, কিন্তু আড়াই ঘণ্টা আগেই রওনা হলাম। বলা তো যায় না, পথে কোনো গ-গোল বাঁধে কি না।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকেও গুলিস্তানের গোলাপশাহ্ মাজার ও সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্স এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গুলিস্তান থেকে নরসিংদীগামী মেঘালয় ও বিআরটিসি পরিবহন, দক্ষিণবঙ্গগামী টুঙ্গিপাড়া পরিবহন, মধুমতি পরিবহন, ইমাদ এন্টারপ্রাইজ, বান্দুরা, মুন্সীগঞ্জ ও মাওয়াগামী বিভিন্ন পরিবহনের বাস একেবারেই কম।মাওয়াগামী যাত্রী জুয়েল বলেন, অন্যদিন এ সময় কত বাস থাকে। আজকে বাসই নাই। কিভাবে আজকে বাড়ি যাব, জানি না।সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ও গুলিস্তানের বাস ডিপো থেকে দূরপাল্লার কয়েকটি বাস ছেড়ে গেলেও যাত্রী ছিল অনেক কম। লক্ষ্মীপুরগামী জোনাকী পরিবহনের চালক আকবর মিয়া বলেন,অন্যদিনের চাইয়া আজকে যাত্রী ম্যালা কম। বিষ্যুদবার যাত্রী অনেক থাকে। আইজকে হরতাল বইল্যা যাত্রীরাও মনে হয়, বাসা থিকা বাইর হয় নাই। আজকে লস খামু।সিলেটগামী মিতালী পরিবহনের চালকের সহকারী জানান, দেড় ঘণ্টা ডাকাডাকির পর মাত্র ১৫ জন যাত্রী নিয়ে তারা সায়েদাবাদ কাউন্টার ছেড়ে যাচ্ছেন।আগারগাঁও থেকে মিরপুর-২ নম্বর যাওয়ার ৬০ ফিট সড়কে অন্যদিন বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘসময়ের জন্য গাড়ি যানজটে আটকা থাকলেও এদিন সেই চিত্র দেখা যায়নি।৬০ ফিট সড়কে রেডিও সিগনালের কাছে প ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে রিকশায় বাড়ির পথে থাকা এক নারী জানান, স্কুলে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম হওয়ার কারণে আজকে মেয়ের ক্লাস হয়নি। তাই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন তিনি।আগারগাঁও থেকে শ্যামলী যাওয়ার পথে রেডিও সিগনাল এলাকায় তিনমুখী গাড়ির চাপে অন্যদিন যানজট হলেও এদিন গাড়ির সংখ্যা ছিল অনেক কম।মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ চলতে থাকায় আগারগাঁও সিগনালে মিরপুর, খামারবাড়ি, শ্যামলী ও মহাখালীগামী গাড়িগুলোর চিরাচরিত দীর্ঘ অপেক্ষাও ছিল না এদিন, গাড়ির সংখ্যা কম থাকায় নির্বিঘেœই চলাচল করছিল গাড়িগুলো।

সকালের দিকে নগরীর নিউমার্কেট এলাকা ও সায়েন্স ল্যাব এলাকার চিত্র ছিল থমথমে। দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো সেভাবে খুলেনি। ধানম-ি হকার্স মার্কেট ও চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের কটি দোকান খুললেও সকালে ক্রেতা ছিল অনেক কম।সকালে শহরের একেবারে উত্তর প্রান্ত উত্তরা মডেল টাউন থেকে রাজধানীমুখী যানবাহনের যে রকম চাপ থাকে সপ্তাহের শেষ দিন হিসাবে বৃহস্পতিবার তেমন চাপই ছিল না।বিমানবন্দর, খিলক্ষেত ও কাকলীসহ এই পথটির অন্যান্য ব্যাসস্ট্যান্ডে তেমন যাত্রীর চাপও দেখা যায় নাই। তবে এ সড়কে যানবাহন ছিল কম।ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কও অন্যান্য দিনের তুলনায় ফাঁকা ছিল। রাস্তায় কম সংখ্যক গাড়ি চলতে দেখা গেছে। মহাখালী আমতলী ট্রাফিক সিগনালে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হয়নি কোনো যানবাহনকে।আমতলীতে বাস থেকে নেমে চাকরিজীবী আনোয়ার হোসেন বলেন,আমি এসেছি টঙ্গী থেকে।অন্যদিন এ সময় প্রচুর জ্যাম থাকে রাস্তায়, আজ সে তুলনায় ফাঁকা ছিল রাস্তা, গাড়ির সংখ্যাও কম ছিল।হাইকোর্ট মোড় এলাকা থেকে মগবাজার ফ্লাইওভার হয়ে বনানী ও গুলশানের রাস্তায় সকাল সাড়ে ৮টার সময় পথে কোনো ট্রাফিক সিগন্যাল ছিল না, খুব কম যানবাহন দেখা গেছে। মানুষের চলাচলও সীমিত আকারে নজরে পড়েছে। মোড়ে মোড়ে পুলিশের নজরদারিও চোখে পড়েছে।সকাল ১০টায় সায়েন্স ল্যাব এলাকায় যানবাহন তুলনামূলক কম দেখা গেছে; কলেজ স্ট্রিটে পুলিশের কড়াকড়ি পাহারা ছিল।নগরীর যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান ও নিউ মার্কেট, সায়েন্স ল্যাবটরি, মহাখালী এলাকার সড়কে অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।শ্যামলী থেকে মহাখালী-গুলশান রুটে বাস-প্রাইভেট কার চলাচল অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশ কম। তবে অটোরিকশা চলেছে স্বাভাবিকভাবেই।

আদাবর ৯ নম্বর রোড নিবাসী মুসাব্বির আহমেদ নিজের গাড়িতে মতিঝিলের অফিসে গেলেও বৃহস্পতিবার নিজের গাড়ি বের না করে অটোরিকশায় যাচ্ছেন তিনি।মুসাব্বির বলেন, আজকে গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার রিস্ক নিতে চাচ্ছি না।এদিকে ঢাকা সিলেট মহাসড়ক হয়ে কোনো গণপরিবহন ঢাকায় ঢুকছে না। ঢাকায় বাস আসা পুরোপুরি বন্ধ আছে। জরুরি প্রয়োজনে কেউ ছোট যানবাহনে লোকজন ঢাকার দিকে আসার চেষ্টা করলেও ঢাকা সিলেট মহাসড়কের বাঁশেরপুল পুলিশ চেকপোস্টে যাত্রীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে দিচ্ছে পুলিশ।তবে ঢাকা থেকে দূরপাল্লার কিছু বাস যেতে দেখা গেছে। যানবাহন না পেয়ে অনেকে অটোরিকশা, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান এবং ট্রাক্টরে করেও লোকজনকে আসতে দেখা গেছে।নারায়ণগঞ্জের ভুলতা পুর্বাচল ৩০০ ফুট সড়ক হয়ে কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত বিআরটিসির আর্টিকুলেটেড বাস চলাচল করছে। তবে তাতে যাত্রী অনেক কম।পুর্বাচল ৩০০ ফুট সড়কের কা ন সেতু, বালু ব্রিজ এবং বসুন্ধরা এলাকায় পুলিশ বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশি চালাচ্ছে।