প্রথমবারের মত বাংলাদেশ সফরে ঢাকা পৌঁছেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন, যিনি মিয়ানমারে যাওয়ার আগে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নিজে চোখে দেখবেন।দুইদিনের সফরে শুক্রবার বাংলাদেশে আসেন ।দ্বি-পক্ষীয় সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারে উন্নীত করার লক্ষ্যে তার এই সফর। প্রায় ১০ বছর পর যুক্তরাজ্যের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন। এর আগে ২০০৮ সালে যুক্তরাজ্যের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড মিলিব্যান্ড বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।

ব্রিটিশ মন্ত্রী শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে ঢাকার শাহজালাল মিানবন্দরে পৌঁছালে পররাষ্ট্র সচিব (দ্বিপক্ষীয়) কামরুল আহসান, ইউরোপ উইংয়ের মহা পরিচালক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগির এবং ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশনার অ্যালিসন ব্লেক তাকে স্বাগত জানান। সন্ধ্যায় ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে দ্বি-পক্ষীয় বৈঠকে বসবেন বরিস জনসন।
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে আকাশপথে কার্গো পরিবহনের ওপর ২০১৬ সালের মার্চে যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে তা তোলার বিষয়ে কোনো ঘোষণা আসতে পারে বলে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা আশা করছেন। এমন এক সময়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফরে এলেন, যখন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এখনই শুরু না করার আহ্বান জানানো হচ্ছে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার পক্ষ থেকে।বরিস জনসন শনিবার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে যাবেন তাদের কষ্টের কথা তাদের মুখ থেকে শুনতে।শনিবার রাতে মিয়ানমারের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।