বারবার স্থান পরিবর্তনের পরও নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২০ দলীয় জোটের অবস্থান কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের ঢল দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে বলে মনে করেন জোটের নেতারা।মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ২০ দলীয় জোটের অবস্থান কর্মসূচিতে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলা হয়।

আন্দোলনের মাধ্যমে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করা হবে মন্তব্য করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।এ জন্য সারা দেশের নেতাকর্মীদের দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে আহ্বান জানান তিনি।ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, একটি মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে খালেদা জিয়াকে নির্জন কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। এ আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা তাঁকে কারাগার থেকে মুক্ত করব।পাশাপাশি আইনি প্রক্রিয়াও চালিয়ে যাব।সরকারের নির্দেশে আদালত মিথ্যা মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসনকে সাজা দিয়েছে অভিযোগ করে মওদুদ আহমদ বলেন, এর প্রতিবাদে নেতাকর্মীরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় কর্মসূচি পালন করতে গেলেও সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে তাতে বাধা দিয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি এবং প্রতিবাদ পালন করে যাব। কিন্তু আজকের এই কর্মসূচি পালনের জন্য এরই মধ্যে তিনটি জায়গা পরিবর্তন করতে হয়েছে। আমাদের কোথাও দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু এর পরও আজকের এ উপস্থিতি প্রমাণ করে, রাস্তায় নামার সুযোগ দেওয়া হলে সারা দেশের মানুষ রাস্তায় নেমে আসবেন।কারণ, একজন জনপ্রিয় নেত্রীকে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। এ জন্য এই সরকারকে অনেক খেসারত দিতে হবে। দেশে গণতন্ত্র বাদ দিয়ে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে অভিযোগ করে মওদুদ আহমদ বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার মাধ্যমে আমরা গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনব।বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়া দেশের ১৬ কোটি মানুষের জনপ্রিয় নেত্রী। দেশের মানুষকে মামলা হামলা দিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না।এ দেশের মানুষ আন্দোলনের মাধ্যমে তাঁকে মুক্ত করে নিয়ে আসবে। এ লড়াই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার লড়াই। জনতার উত্তাল তরঙ্গের মধ্য দিয়েই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনা হবে।আজ সারা দেশে নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এমামলা হামলা দিয়ে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না।মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয় আজকের অবস্থান কর্মসূচি।অবস্থান কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান ও মির্জা আব্বাস।