গতকাল ১২ ফ্রেরুয়ারী ২০১৮ইং রাত ১০.০০টায় বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক আমার সংবাদ ষষ্ঠ বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে যুবলগীগ চেয়ারম্যান মোহম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন বিশেষভাবে শ্রদ্ধা জানাই গণমাধ্যম-বান্ধব ব্যক্তিত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার প্রতি, যিনি বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি গণমাধ্যমকে মুক্তবিহঙ্গের মতো কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। ইতোমধ্যেই সরকার গণমাধ্যমকর্মীদের জন্যে ঘোষণা করেছেন নবম ওয়েজ বোর্ড।
তিনি আরো বলেন আজকের এই অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে আমি কিছু মৌলিক প্রশ্ন করতে চাই। প্রায়ই আমি চারপাশে শুনি নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার কথা। নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা কি? বাংলাদেশের একজন নেতা বিশে^র সবচেয়ে সৎ সরকার প্রধানদের একজন। অন্য একজন রাজনৈতিক নেতা বিশে^ সেরা দুর্নীতিবাজদের একজন। নিরপেক্ষতা মানে কি, দুজনকে একই পাল্লায় মাপা? একটি দল গঠনতন্ত্রে দুর্নীতিবাজদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। অন্য একটি দল তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে দুর্নীতিবাজদের জন্য উন্মুক্ত করেছে। নিরপেক্ষতা মানে কি, দুটি দলকে একই ভাবে মূল্যায়ন করা?

এক সময় এদেশে ভয়াবহ লোড শেডিং হতো। বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে খাম্বা দুর্নীতি হয়েছিল। নিরপেক্ষতা মানে কি? সেই সব অতীত ঘটনা চেপে রাখা? একসময় শিক্ষার্থীরা জুনেও পাঠ্যপুস্তক পেতেন না। এখন জানুয়ারির এক তারিখে বই উৎসব হয়। নিরপেক্ষতা মানে কি ঐ দুই সময়কালের তুলনা না করা? আমি মনে করি নিরপেক্ষতা মানে সত্যের পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে।
আমি মনে করি, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা মানে ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ, সত্য-মিথ্যার পার্থক্য পাঠকের কাছে উ¤েœাচন করা। এটা করা অত্যন্ত জরুরী।

আমাদের বর্তমানের জন্য, আমাদের উন্নয়নের অভিযাত্রাকে অব্যাহত রাখার জন্য। আমাদের ভবিষ্যত সুরক্ষার জন্য।
আজ আমার সংবাদ অনুষ্ঠানে আমার বিনীত অনুরোধ নিরপেক্ষ সংবাদ মানে যেন ভালো খারাপ এক মানদন্ডে বিচার না হয়।
সংবাদ যেন হয় জন আকাংখার প্রতিফলন। মানুষকে আলোকিত করার জন্য। আপনারা জানেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’ বিশ^ শান্তির দর্শন ২০১২ সালে জাতি সংঘে সর্ব সম্মত ভাবে গৃহীত হয়েছে। এই দর্শনের আলোকেই দেশ পরিচালনা করছেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’ বাস্তবায়নে গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক তথ্য ও উপাত্ত জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করতে পারে। এটা জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আসুন আমরা তথ্যের অবাধ প্রবাহে, ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য উ¤েœাচন করি।

আমার সংবাদের সম্পাদক ও প্রকাশক জনাব হাশেম রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় তথ্যমন্ত্রী জনাব হাসানুল হক ইনু এমপি, বিশেষ অতিথি মাননীয় তথ্য প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. তারানা হালিম এমপি, মাননীয় যুব ও ক্রীড়া ্উপমন্ত্রী জনাব আরিফ খান জয় এমপি, তথ্য সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক জনাব হারুনুর রশিদ, দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিন সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী স¤্রাট প্রমূখ।