বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে এখন স্বয়ংসম্পূর্ণÑজানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, খাদ্য উৎপাদন বেড়ে ২০১৭ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৩৯ মিলিয়ন টন। মঙ্গলবার ইতালির রোমে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (আইএফএডি) গভর্নিং কাউন্সিলের ৪১তম অধিবেশনে ‘নাজুকতা থেকে দীর্ঘমেয়াদে তেজিভাব: টেকসই গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধে এ আহ্বান জানান তিনি।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, যে তার সরকারের অগ্রাধিকারমূলক লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং সবার জন্য পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করা।জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় নানা কর্মসূচির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সরকার ভূমিহীন কৃষকদের সহজশর্তে ঋণ দিচ্ছে, ভর্তুকি দিচ্ছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে কোনো ভূমিকা না থাকলেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ।এর আগে জাতিসংঘ সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাদের জরুরি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির-ডব্লিউএফপির নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বিজলী বলেন, তবে এ বিষয়ে দাতাদের আগ্রহ কমে আসছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতির তেজিভাব ধরে রাখতে জাতিসংঘ কৃষি উন্নয়ন তহবিল থেকে টেকসই গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগের আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতির উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুসহ একাধিক আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নেওয়া নানা পদক্ষেপগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তার সামনের চ্যালেঞ্জগুলোর কথাও তুলে ধরেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, দুর্যোগে ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা তৈরিতে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ অন্যতম প্রধান বিষয়। এবং আমরা বিশ্বাস করি, বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা ছাড়া এটা অর্জন করা সম্ভব নয়।

দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূরীকরণে উন্নয়ন সহযোগীদের আরও উদার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার কাছে মনে হয় এটার জন্য বিশ্ব এখন প্রস্তুত। আমি আপনাদের সকলকে টেকসই গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগের আহ্বান জানাই।স্বাধীনতার পর কৃষি উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তার কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, কিন্তু ১৯৭৫ সালে তাকে হত্যার পরের বছরগুলোতে দেশের কৃষি খাত ধারাবাহিক অবহেলার শিকার হয়েছে, যার ফলে দেশ মারাত্মক খাদ্য ঘাটতিতে পড়েছিল।আইএফএডির প্রেসিডেন্ট গিলবার্ট ফাউসন হোউংবোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ সংস্থাটির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অভিনন্দন জানান এবং উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।