বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়েই মিথ্যা ও সাজানো মামলায় সাজা দিয়ে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে মনে করেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে প্রতিহিংসাবশত জেলে পাঠানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেন মেজর হাফিজ ।বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্র“য়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি আয়োজিত খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, বিএনপির জোট ভাঙা নিয়ে আওয়ামী লীগের এতো মাথাব্যাথা কেন? তারা চেষ্টা করছেন ২০ দলীয় জোট ভাঙার। এ কারণে উসকানি দিচ্ছে। তারা চাইছে বিএনপি সহিংস আন্দোলন করুক। কিন্তু বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে চায় এবং বরাবরই তা পছন্দ করে। আওয়ামী লীগের মতো মারামারির রাজনীতিতে বিএনপি বিশ্বাসী নয়। খালেদা জিয়ার অপরাধ তিনি একজন জনপ্রিয় নেত্রী উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে কেন বন্দি করা হলো? কারণ তিনি কখনো ভোটযুদ্ধে হেরে যান না। তাই প্রতিহিংসাবশত তাকে জেলে পাঠানো হয়েছে। দেশে নিম্ন আদালতের কোনো স্বাধীনতা নেই তা আমরা সবাই জানি। এমনকি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকেও সুষ্ঠু রায় দেওয়ার কারণে ক্ষমতা থেকে অপসারিত হতে হয়েছে। দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের টাকা লুটপাট হচ্ছে। ব্যাংকের নথিপত্র ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। কই সেসব মামলায় তো কাউকে গ্রেফতার দেখা যাচ্ছে না, বিচারও হচ্ছে না।

খালেদা জিয়ার রায় আগে থেকে লেখা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, রায়ের দিন বলা হয়েছিল ৬৩২ পৃষ্ঠার রায় লেখা হয়েছে। এবং সেখান থেকে অল্প কিছু পড়ে শোনানো হবে। কিন্তু ৮ ফেব্র“য়ারির পর থেকে আজ পর্যন্ত আমরা রায়ের কপি পাচ্ছি না। ফলে আপিলেও যেতে পারছি না। এ থেকেই বোঝা যায় রায় আগে লেখা হয়নি। এখন লেখা হচ্ছে এবং তা সম্পূর্ণ আওয়ামী লীগের মনগড়াভাবেই লেখা হচ্ছে। সৈয়দ মো. ইব্রাহিম সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা আপনাদের চিন্তা-ধারা পরিবর্তন করুন। কারাগারে বন্দি রেখে ভাবছেন আপনাদের লাভ হবে! কিন্তু না, আপনারা ভুল করছেন। এর মাধ্যমে আপনাদের জনপ্রিয়তা নষ্ট করছেন।সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মো. ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নুরুল কবির ভূঁইয়া পিন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান, এস আল মামুন, আবু নাসের মো. রহমতউল্লাহসহ অনেকে।