মুশফিক-সৌম্যর ফিফটি এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ১৯৩/৫ রানের স্কোর গড়ল বাংলাদেশ দল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের এটা ইতিহাস সেরা স্কোর।এত দিন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশর দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ১৯০/৫ রান। যেটা ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ড সফরে করে টাইগাররা।শুধু রানের দিক থেকেই নয়! ভেন্যুর দিক থেকেওবৃহস্পতিবার মিরপুরে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের স্কোর গড়েন মাহমুদউল্লাহরা।বৃহস্পতিবারের আগে টি-টোয়েন্টিতে শেরেবাংলায় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের স্কোর ছিল ১৮৯/৯। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৩ সালে এই স্কোর গড়ে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল।

এদিন মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জাকির হাসানকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন সৌম্য সরকার। তামিম ইকবালের ইনজুরির কারণে ভাগ্য খুলে যাওয়া জাকির নিজের অভিষেক ম্যাচকে ঝলমলে করে রাখতে পারেননি। দানুস্কা গুনতিলকার শিকারে ধরা পরার আগে ১০ রান করতে পেরেছেন এ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।জাকির হাসান ফিরে গেলেও উইকেটে তা-ব চালিয়ে যান সৌম্য। দ্বিতীয় উইকেটে মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে ৫১ রানের জুটি গড়তেই বিপদে পড়ে যান বাঁহাতি এই ওপেনার। জীবন মেন্ডিসের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ৩২ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৫১ রান করেন সৌম্য। তার বিদায়ের পর চলতি ম্যাচে অভিষেক হওয়া আফিফ হোসেন উইকেটে নামতে না নামতেই মেন্ডিসের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন।পরপর দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া বাংলাদেশ দলকে পথ দেখান মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। চতুর্থ উইকেটে ৪৭ বলে ৭৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান তারা। ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তুলে নেয়ার পথে থাকা রিয়াদ থেমে যান ৪৩ রানে। তার ইনিংসটি ৩১ বলে ২ চার ও সমান ছক্কায় সাজানো।রিয়াদের বিদায়ের পর সাব্বির রহমান রুম্মনকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন মুশফিক। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে যাওয়া মুশফিকে থামেন ৪৪ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন এ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।