পাবনার ঈশ্বরদীতে চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফেববুকের ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে বিক্রি করার অপরাধে পুলিশ পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের দুইজন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের মাধপুর বটতলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন; দাপুনিয়া ইউনিয়নের চরখোড়কা গ্রামের মুকুল প্রামানিকের ছেলে ও পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের ডিগ্রী প্রথম বর্ষের ছাত্র শিমূল হোসেন (২৫) ও একই ইউনিয়নের পাঁচবাড়িয়া গ্রামের ইমরান হোসেনের ছেলে এবং একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র রাইসুল ইসলাম হৃদয় (২৩)।

পুলিশ এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫ টি মোবাইল ফোন সেট, ১টি পাওয়ার ব্যাঙ্ক, ১টি পেনড্রাইভ ও ১৮টি সিম কার্ড উদ্ধঅর করে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ঈশ্বরদী সার্কেল) জহুরুল হক জানান, পুলিশ হেডকোয়ার্টারের তথ্য প্রযুক্তি সেল আইটি সেকশনের দেয়া তথ্যমতে আটক দুই শিক্ষার্থীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক আইডি) ও তাদের মোবাইল নম্বর ট্যাকিং করে তথ্যে জানা যায়, তারা সরাসরি নিজেদের পোষ্টে ও গ্রুপে দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি, পরীক্ষার প্রশ্ন বিক্রি করে আসছিলো। তারা নিজেদের আইডি ও গ্র“পে লিখতো, প্রশ্ন লাগবে কি? ১০০% কমন! আর তাতে নিজেদের ব্যবহার করা মোবাইল নম্বর দিতো। প্রশ্ন কমন পেলে টাকা পরিশোধ করতে হবে। ২০০ টাকা অগ্রিম ও প্রশ্ন কমন পাওয়ার পর ৩০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে। পরে নির্ধারিত মোবাইল নম্বরে টাকা বিকাশে নিশ্চিত হওয়ার পর ইনবক্সে প্রশ্ন সরবরাহ করে আসছিল তারা। এরপর পুলিশ আইডি দুটো ট্যাকিং করে বিভিন্নজনের সঙ্গে ম্যাসেঞ্জারে কথা বলে নিশ্চিত হওয়ার পর ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে ঈম্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের শেষ প্রান্ত ও পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের মাধপুর বটতলা এলাকা থেকে প্রশ্ন কেনার অজুহাতে ছদ্মবেশে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্নপত্র বিক্রি ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল এরা। তথ্য প্রযুক্তি আইন ও প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং বিক্রি করার অপরাধে মামলা নথিভূক্ত করে আটকদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
#
কামাল সিদ্দিকী, পাবনা। ১৫.২.১৮
মোবাইল ঃ ০১৭১১-১৯৬০৪৬