যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগে শুক্রবার ১৩ রুশ নাগরিককে অভিযুক্ত করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই)। এটাকে বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা ধীরে ধীরে ট্রাম্পকেও জড়াতে যাচ্ছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।এদের মধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আর্থিক প্রতারণা ও পাঁচজনের বিরুদ্ধে আমেরিকানদের পরিচয় ব্যবহার করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্তরত বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুলারের তদন্তে এসব তথ্য উঠে এসেছে।৩৭ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে সেইন্ট পিটার্সবুর্গভিত্তিক একটি ইন্টারনেট গবেষণা সংস্থাসহ রাশিয়ার তিনটি প্রতিষ্ঠানের নামও উল্লেখ করা হয়েছে।এ কোম্পানিগুলো মার্কিন রাজনীতিতে অনৈক্যের বীজ বপন করার কৌশলগত লক্ষ্যে কাজ করছিল বলেও এফবিআইয়ের অভিযোগ।হোয়াইট হাউস বলেছে, এ বিষয়ে শুক্রবার সকালে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।দিনের শেষভাগে এক টুইটে প্রেসিডেন্ট রুশ হস্তক্ষেপের বিষয়টি কার্যত স্বীকার করে নিলেও এর সঙ্গে তার বা রিপাবলিকান শিবিরের কোনো ধরণের সংযোগ ছিল না বলেও ফের দাবি করেন।মার্কিন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রড রজেনস্টাইন পরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অভিযুক্তরা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও প্রার্থীদের মধ্যে অবিশ্বাসের বাতাবরণ ছড়িয়ে দিতে তথ্য যুদ্ধ শুরু করেছিল।এদিকে ১৩ রূশ নাগরিক ও তিন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মার্কিন নির্বাচন প্রভাবিত করার অভিযোগকে হাস্যকর ও ভিত্তিহীন অ্যাখ্যা দিয়েছে মস্কো।

এসব রুশ নাগরিকরা আমেরিকানদের পরিচয় ধারন করে তাদের নামে ব্যাংক হিসাব খুলেছিল।রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন কিনতে তারা হাজার হাজার ডলার খরচ করেছে।রুশ সংশ্লিষ্টতা এড়াতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সার্ভার থেকে জায়গা কিনেছিল।তারা যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক শোভাযাত্রা বের করেছিল।আমেরিকানদের ছদ্মনাম ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজনৈতিক বার্তা প্রচার করেছে।হিলারি ক্লিনটনকে হেয় করতে বিভিন্ন তথ্য প্রচার করেছে।যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেয়ার জন্য তারা অর্থ গ্রহণ করেছিল।ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে তারা বিভিন্ন গ্র“প খুলেছিল। চা ল্যকর রাজনৈতিক ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা জমিয়ে তুলতে তারা এসব পদক্ষেপ নিয়েছিল।এতে প্রতি মাসে তাদের বরাদ্দ ছিল সাড়ে ১২ লাখ ডলার।