অনেক প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আগামীকাল সোমবার চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবা ফোরজি যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ। সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা ক্লাবে আনুষ্ঠানিকভাবে অপারেটরদের হাতে ফোরজির লাইসেন্স হস্তান্তর করা হবে। লাইসেন্সপ্রাপ্তির ১৫ মিনিটের মধ্যেই ফোরজি কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দিয়েছে গ্রামীণফোন। রোববার ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে দুটি ফোরজি হ্যান্ডসেট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাইকেল ফোলিও।
মাইকেল ফোলিও বলেন, আমরা ফোরজি লাইসেন্স প্রাপ্তির পরপরই এই সেবাটি বাংলাদেশের মানুষদের জন্য উন্মুক্ত করবো। শুরুতে এই সেবা কেবলামাত্র ঢাকায় পাওয়া যাবে। পর্যায়ক্রমে ঢাকার বাইরেও ফোরজি নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করা হবে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে গ্রাহকদের সুলভ হ্যান্ডসেটের মাধ্যমে সেরা ফোরজি সেবা দেয়া। ফোরজি অনেক ডাটা ব্যবহারকারীর জন্য নতুন দিগন্ত উম্মোচন করবে এবং আমাদের নেটওয়ার্কে সেরা অভিজ্ঞতা পেতে গ্রাহকদের হাতে সঠিক হ্যান্ডসেট থাকতে হবে।

 

ফোরজি সূচনার সাথে সাথে ফোনগুলোতে পাওয়া যাবে ফুল এইচডি ভিডিও স্ট্রিমিং, নিখুঁত ভিডিওকলিং, সুপার ফাস্ট ডাউনলোডিং, মিউজিক স্ট্রিমিং এবং বিনামূল্যে বাফারমুক্ত লাইভ টিভি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ফোরজি এবং ফোরজি উপযোগী হ্যান্ডসেট সত্যিকার অর্থেই স্মার্টফোনের শক্তিকে উন্মুক্ত করবে।

 

প্রসঙ্গত, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিটিআরসির আয়োজনে দেশে ফোরজির নিলাম সম্পন্ন হয়। এই নিলামে অংশ নেয় গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক। নিলামে মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক ২১০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডে ৫ মেগাহার্জ তরঙ্গ কেনে। যার দর ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলালিংক ১৮০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডে ৫ মেগাহার্জ তরঙ্গ কেনে। এই তরঙ্গের মূল্য ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অন্যদিকে গ্রামীণফোন ১৮০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডে ৫ মেগাহার্জ তরঙ্গ কেনে।

নিলামের পূর্বে গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটকের কাছে যথাক্রমে বিভিন্ন ব্র্যান্ডে মোট ৩২, ৩৬.৪, ২০ এবং ২৫.২ মেগাগার্জ তরঙ্গ ছিল। নিলামের পর গ্রামীণফোন ও বাংলালিংকের তরঙ্গ বেড়ে দাঁড়ালো যথাক্রমে ৩৭ ও ৩০.৬ মেগাহার্জ তরঙ্গ।