রোববার ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ দল। ২১১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ২২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যায়টাইগাররা। বড় স্কোর তাড়া করতে নেমে নার্ভ ঠিক রাখতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। লড়াই করার আগেই আত্মসমর্পণ করেছেন তামিম, সৌম্য, মুশফিক ও মিঠুনরা। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ উইকেটে ২১০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে শ্রীলংকা। জবাব দিতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে মাহমুদউল্লাহ বাহিনী। স্কোর বোর্ডে মাত্র ৮ রান যোগ করেই সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মিরপুরে ৫১ রান করা জাতীয় দলের এই ওপেনার এদিন ফেরেন শূন্য রানে।

সৌম্যর বিদায়ের পর উইকেটে থিতু হতে পারেননি মুশফিকুর রহিম এবং মোহাম্মদ মিঠুনরা। দলের কঠিন পরীক্ষার দিনে প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারেননি জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার মুশফিকও। আগের ম্যাচে ৬৬ রানের লড়াকু ইনিংস খেলা জাতীয় দলের এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান এদিন ফেরেন মাত্র ৬ রানে। মুশফিকের চেয়েও বিবর্ণ মিঠুন। ৫ রানের বেশি করতে পারেনি এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

২২ রানে টপঅর্ডার তিন ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে ধীরে চলো নীতি অনুসরণ করে বাংলাদেশ। সেই অবস্থা থেকে দলকে উত্তরণের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া তামিম ইকবালফিরেছেন ২৩ বলে ২৯ রান করে। এই ম্যাচে অভিষেক হওয়া আরিফুল হককে সঙ্গে নিয়ে পরাজয়ের ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু আরিফুলও ব্যর্থ হন। ব্যক্তিগত ২ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন উদীয়মান এ ক্রিকেটার।

আরিফুলের বিদায়ের পর ষষ্ঠ উইকেটে সাইফুদ্দিনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মাহমুদউল্লাহ। এই জুটিতে তাড়া ৫২ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে এক’শো পার করতে সাহায্য করেন। নিজের ভুলের কারণেরান আউটের ফাঁদে পড়েন অধিনায়ক। সাজঘরে ফেরার আগে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন রিয়াদ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

শ্রীলংকা: ২০ ওভারে ২১০/৪ রান(মেন্ডিস ৭০, গুনাথিলাকা ৪২)।

বাংলাদেশ: ১৮.৪ ওভারে ১৩৫/১০ রান (রিয়াদ ৪২, তামিম ২৯) ।

ফল: শ্রীলংকা ৭৫ রানে জয়ী।

সিরিজ: শ্রীলংকা ২-০তে জয়ী।