বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই মুক্তি পাবেন বলে মন্তব্য করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। শনিবার বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন ও খালেদা জিয়ার সাজা বাতিলের দাবিতে আয়োজিত এক প্রতিবাদি যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ১৯৭৫ সালের বাকশাল সরকারের চেয়ে এই সরকার বেশি ভয়ঙ্কর বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তাই সরকারের পলিসি অত্যন্ত নিম্ন ও ন্যক্কারজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সভায় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, জীবন সায়াহ্নে এসে মনে হচ্ছে এই বাংলাদেশ সেই বাংলাদেশ নয়। আজকের আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের সময় নেতৃত্ব দিয়ে ১৯৭২ সালে নতুন সংবিধান প্রতিষ্ঠা করেছিলো। এটি উচ্চমানের সংবিধান ছিলো। কিন্তু তারাই আবার সেই সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করে দেশে একনায়কতন্ত্র বাকশাল প্রতিষ্ঠা করলো। তারা কিন্তু কোনও টকশো বা আলোচনায় এ কথা বলে না।তিনি অভিযোগ করে বলেন, দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ১৯৭৫ সালের বাকশাল সরকারের চেয়ে এই সরকার বেশি ভয়ঙ্কর। তাদের পলিসি অত্যন্ত নিম্নমানের ও ন্যক্কারজনক।

ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, সরকার মনে করছে খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠিয়ে ৫ জানুয়ারির মতো আবারও একই কায়দায় নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় যাবেন। সে আশা পূরণ হবে না। বেগম জিয়া আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই মুক্তি পাবেন। মুক্তিতে যদি দেরিও হয় তবে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলবে, ধৈর্য ধরতে হবে।তিনি বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী। আমাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন এক সাথে পরিচালনা করতে হবে। বিএনপি একবার রাস্তায় নেমে গেলে দৃশ্যপট পরিবর্তন দেখতে পাবেন।তিনি বলেন, পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ। কিন্তু বিরোধী মত ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমাতে মরিয়া। আজ বিএনপিদর শান্তিপূর্ণ কালো পতাকা প্রদর্শন অনুষ্ঠানে হামলা করেছে পুলিশ। এ থেকে স্পষ্ট যে সরকার চায় না বিরোধী কোনো মত ও বাকস্বাধীনতা থাক।অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক চৌধুরী।