নওগাঁর আত্রাইয়ে দিবাগত গভীর রাতের অসময়ে বৃষ্টিপাত হওয়ায় কাঁচা ইট রক্ষায় কোনো প্রস্তুতি ছিল না থাকায় অধিকাংশ ভাটায় পোড়ানোর অপেক্ষায় রাখা কাঁচা ইট ভিজে নষ্ট হয়ে কোটি টাকা লোকসান হয়েছে ইটভাটা মালিকদের। বেকার হয়ে পড়েছেন ইটভাতার সঙ্গে জড়িত প্রায় নয়’শ শ্রমিক। গত রবিবার বৃষ্টিতে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ১৫টি ইটভাটায় প্রায় ৩০ লাখ কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। ভাটার মালিকদের হিসাব অনুযায়ী এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকা। ভাটার মালিকদের বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি তো হয়েছেই, সাথে ভাটাগুলোতে কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। উপজেলার মিরাপুর এলাকায় অবস্থিত ৩জন ভাটা মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েক মাসে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় উপজেলার ইটভাটাগুলোতে প্রচুর ইট তৈরি করা হয়। কাঁচা ইটগুলো শুকানো ও পোড়ানোর অপেক্ষায় মাঠে সাজিয়ে রাখা ছিল। এসব ইট পোড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারা কিন্তু গত রবিবারের বৃষ্টিতে প্রতিটি ভাটায় ৩-৪ লাখ কাঁচা ইট গলে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ইটভাটা ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিক নেই। সাজানো কাঁচা ইটগুলো বৃষ্টির পানিতে গলে গেছে। কিছু ইট পলিথিন দিয়ে ঢাকার চেষ্টা করা হলেও তা শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয়নি। উপজেলার মিরাপুর গ্রামে অবস্থিত ইটভাটার
স্বত্বাধিকারী শ্রী বিরেন পাল বলেন, আমার প্রায় চার লাখ ইট বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে। নষ্ট ইট সড়িয়ে নিতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হচ্ছে। তাছাড়া নতুন ইট তৈরি না হওয়া পর্যন্ত ভাটাও বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এতে এবার ইটের দাম কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। অন্যথায় ভাটার মালিকদের পথে বসতে হবে।

উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের ইটভাটার মালিক মোঃ জিয়ার আলী খাঁ বলেন, বৃষ্টিতে তৈরি কাঁচা ইটের ৪০ ভাগ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে নতুন ইট তৈরি না হওয়া পর্যন্ত ভাটা বন্ধ রাখতে হবে। অন্যদিকে বৃষ্টিতে ভাটার আগুনের তীব্রতা কমে যাওয়ায় কয়লা খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবছরে লোকসান বাড়বে।