মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার শিলই ইউনিয়নের শিলই গ্রামের পদ্মার শাখা নদীতে অবৈধ ড্রেজিং চালাচ্ছে শাহাদাৎ বেপারি নামের এক বালুদস্যু। জোর করে কেটে নিচ্ছে কৃষি জমি । বাধা দিলই প্রান ন্বাশের হুমকি দিয়ে আসছে কৃষকদের। কোন প্রকার নিয়ম নিতির তোয়াক্কা না করে সরকারি অনুমোদন ছাড়াই চালিয়ে আসছে ডেজিং। ফলে নদীর তীরভর্তি কৃষি জমি গুলো পড়েছে হুমকির মুখে ।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় কৃষক সামসুদ্দিন বেপারির ছেলে জব্বর বেপারি জানান, সরকারি অনুমোধন ছাড়া ক্ষমতার জোর দেখিয়ে আমাদের কৃষি জমি কেটে নিচ্ছে শাহাদাৎ। পদ্মার শাখা নদীটি এই মৌসুমে সুখিয়ে যায় এতে পদ্মার চর থেকে আলু উত্তোলণ করে এপাড়ে আনতে সুবিদা হয়। কিন্তু এই বালুদস্যু শাহাদাৎ তার ড্রেজার দিয়ে অবৈধ ভাবে ড্রেজিং করে নদীর বালু তো কাঠছেই পাশাপাশি আমাদের কৃষি জমি গুলোও কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় অপর কৃষক মোতালেব বেপারি,ফেরদাউস বেপারি, রফিকুল মৃধা,রাজাই করিম দেওয়ানসহ ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা জানায়,শাহাদাৎ বেপারি সারা বছরই অবৈধ ড্রেজিং চালিয়ে আসছে শাখা নদীটিতে। তার ড্রেজারে ফলে নদীর দুই পাড়ে আমাদের কৃষি জমি ভেঙ্গে নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে । তাকে বাধা দিলে কোন লাভ হয়না বরং প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এভাবে ড্রেজিং চলতে থাকলে এই অঞ্চলের কৃষি জমি নদীগর্ভে হারিয়ে যাবে। দ্রুত এই বালুদস্যু শাহাদাৎ বেপারির অবৈধ ড্রেজিং এর হাত থেকে রক্ষার দাবী তাদের। এব্যাপারে বালুদস্যু শাহাদাৎ বেপারির সাথে একাধিক বার মুঠে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। অবৈধ ড্রেজিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেয়ার কথা জানিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম লিটন বলেন,অবৈধ ড্রেজিংয়ের ফলে এলাকার কৃষি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেয়ার জন্য সরকারে উচ্চমহলে যোগাযোগরে চেষ্টা চলছে। খুব শিগ্রহি এদের বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।এ বিষয়ে সদর উপজেলা নিবাহি কর্মকতা সুরাইয়া জাহান বলেন,কি ভাবে শাখা নদীটিতে ড্রেজিং করছে তার খোজ নিয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কথায় নয় কাজে যথাযথ ব্যবস্থার মাধ্যমে এসব বালুদস্যুদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী স্থানীয়দের।