চলতি বছর পবিত্র হজের কার্যক্রমে অংশ নিতে বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদন পেলো ৯১৪টি হজ এজেন্সি।২৭ ফেব্র“য়ারি ৭৭৪টি প্রথম পর্যায়ে অনুমোদিত হজ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ১৪০টি হজ এজেন্সির তালিকা বুধবার (০৭ মার্চ) প্রকাশ করা হয়। এ নিয়ে দুই দফায় মোট ৯১৪টি হজ এজেন্সি চলতি বছর হজের কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার অনুমতি পেলো।

তবে যে সব হজ এজেন্সি এখন পর্যন্ত হালনাগাদ কাগজপত্রাদি মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেনি এবং ইতোপূর্বে বিভিন্ন অভিযোগে শাস্তি অথবা জরিমানা পাওয়া এজেন্সিগুলোর তালিকা অনুমোদন পাওয়া এজেন্সিগুলোর তালিকায় নেই।তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত অচিরেই নেওয়া হবে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা। ২০১৭ সালে হজ ব্যবস্থাপনায় নানাবিধ অনিয়মের দায়ে ৮০টি বেসরকারি হজ এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল ও জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়। ১৮টি এজেন্সির কার্যক্রম এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত স্থগিতসহ ১৫৩টি এজেন্সিকে অর্থদন্ড দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছিল ৬৩৫টি বেসরকারি হজ এজেন্সি। তন্মধ্যে ২৪৫টি এজেন্সির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপিত হয়। সম্প্রতি ২০১৮ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় দু’টি প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনের সুযোগ রেখে হজ প্যাকেজ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্যাকেজ-১ এ ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৯২৯ টাকা এবং প্যাকেজ-২ এ ৩ লাখ ৩১ হাজার ৩৫৯ টাকা। এর সঙ্গে মিল রেখে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি বছরের হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এবার সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয়েছে জনপ্রতি ৩ লাখ ৩২ হাজার ৮৬৮ টাকা, যা গতবারের চেয়ে ১৩ হাজার ৫১৩ টাকা বেশি। কোনো হজ এজেন্সি সর্বনিম্ন প্যাকেজের চেয়ে কম টাকায় কাউকে হজে নিতে পারবে না। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২১ আগস্ট (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ হজ কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার অনুমোদন পেলো ৯১৪টি বেসরকারি হজ এজেন্সি করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ জন ও অবশিষ্ট এক লাখ ২০ হাজার জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।