কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজটির জীবিত ১৯ জন যাত্রীর নাম প্রকাশ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে এই উড়োজাহাজটি বিধ্বস্তের পর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে রাতে জীবিত ১৯ যাত্রীকে শনাক্তের কথা জানায় বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান সংস্থাটি।

জীবিত যারা শনাক্ত

ইমরানা কবির হাসি, কবির হোসেন, মেহেদী হাসান, রিজওয়ানা আব্দুল্লাহ স্বর্ণা সাঈদা কামরুন নাহার, শাহরিন আহমেদ, মো. শাহীন বেপারি, মো. রিজওয়ানুল হক, প্রিন্সি ধামি, সামিরা বায়জানকার, কিশোর ত্রিপাটি, হরিপ্রসাদ সুবেদী, দয়ারাম তামরাকার, কিষাণ পান্ডে, আশিস রঞ্জিত, বিনোদ পৌদাল, সনম সখ্য, দিনেশ হুমাগাইন, বসন্ত বহরা।

এদের মধ্যে ইমরানা কবির হাসি রুয়েটের সিএসই বিভাগের প্রভাষক; ব্যবসায়ী মেহেদী হাসানের বাড়ি গাজীপুরে। কামরুন নাহার স্বর্ণা তার স্ত্রী। ঢাকায় ইউএস-বাংলার কার্যালয়ে সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান আসিফ ১৯ জনের নাম সাংবাদিকদের জানালে আহতদের অবস্থা কী, সে সম্পর্কে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়। তিনি তখন বলেন, “যেহেতু অ্যাক্সিডেন্টটা বার্নের, এজন্য অনেকে কী অবস্থায় আছেন, সেটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।” কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে রয়েছেন আহতরা। আহতের সংখ্যা ২২ বলে নেপালের সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে।

ঢাকা থেকে রওনা হওয়ার সময় বিমানটিতে মোট যাত্রী ছিলেন ৬৭ জন। এছাড়া ক্রু ছিলেন চারজন। যাত্রীদের মধ্যে বাংলাদেশি ছিলেন ৩২ জন। প্রধান বৈমানিক আবিদ সুলতান জীবিত আছেন বলে আগেই জানিয়েছিল ইউএস-বাংলা। ক্রুদের মধ্যে ফার্স্ট অফিসার পৃথুলা রশিদ ও ক্রু খাজা হোসেনের নাম কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দেওয়া মৃতদের তালিকায় রয়েছে। আরেক ক্রু নাবিলার খবর পাওয়া যায়নি। নেপালি কর্মকর্তারা বলছেন, উড়োজাহাজটির ৪৯ আরোহী নিহত হয়েছেন। তবে নিহত অধিকাংশের সবার নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি। বিধ্বস্ত বিমানটি আগুন ধরে যাওয়ায় অনেকের লাশ পুড়ে গেছে বলে নেপালি কর্মকর্তারা জানান। ইমরান আসিফ বলেন, “আহতদের চিকিৎসা ও নিহতদের দেশে ফিরিয়ে আনবে ইউএস বাংলা। আগামীকাল ইউএস বাংলা, সিভিল এভিয়েশন ও সংশ্লিষ্টরা নেপাল যাবেন।”