নীলফামারীর ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ী ও গোমনাতী ইউনিয়নে অবাধে চলছে জুয়ার রমরমা আসর! টাকা জোগাড় করতে জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধ কর্মে। এদের সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাওয়ায় অভিভাবক মহল তাদের স্কুল কলেজগামী সন্তানদের নিয়ে দারুন দুশ্চিন্তা দিনাতিপাত করছে। জুয়ার পাশাপাশী মাদক আসক্ত হচ্ছে অনেক যুবক। উপজেলার বেশ কয়েকটি স্পটে দিনের বেলা এসব আসর বসে, এদের মধ্যে কয়েকটি ক্লাব ছাড়াও বাঁশ বাগান, নদীরপাড় ছাড়াও বর্তমানে ভুট্টা ক্ষেতে জুয়ার অভয় অরন্য। পশ্চিম বোড়াগাড়ী বটতলী (বৌ বাজার) সাধুর আশ্রম, বেতগাড়া, জোড়াবাড়ী ফকির পাড়া, কাশাই টারী, মফিজ পাড়া, কাজীর হাট, দারকামারী বাজার, গোমনাতী ইউনিয়নের চৌরঙ্গী বাজার, আমবাড়ী দাড়িয়ার মোড়, দঃ আমবাড়ী মাদ্রাসার ফরেষ্ট, নদীরপাড় উল্লেখযোগ্য স্পট। বর্তমানে বিশেষ করে চায়না ক্ষেতের মেশিন/পাম্প ঘড় ও ভুট্টাবাড়ী বেছে নিয়েছে জুয়ারীরা। ডোমার থানার বিশেষ অভিযানে কয়েকটি স্থান থেকে বেশ কিছু জুয়ারীকে আটক করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভ্রাম্যমান আদালতে জেল ও জরিমানা করেও কোন কাজ হচ্ছেনা। কুকুরের লেজের মতো আবার তারা জুয়ার জগতে হাবুডুবু খাচ্ছে। এখন নতুন করে যুক্ত হয়েছে ক্রিকেট বাজীর আসর। লক্ষলক্ষ টাকার জুয়া চলছে আজিজার মিয়ার হাট, কনিকা সিনেমা হল এলাকা সহ ডোমার বাজারের একাধিক চায়ের দোকানে। ক্রিকেট বাজীতে এলাকার অনেক ব্যবসায়ী ফতুর হয়ে রাস্তায় ঘুড়ে বেড়াচ্ছে আবার কেউ বা বউয়ের সাথে ঝগড়া করে রাজধানীতে গিয়ে বেছে নিয়েছে রিক্সা চালানোর পথ। এ সকল ঘটনায় ক্রিকেট, তাস জুয়ারী ও মাদক সেবিরা নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে বলে অনেকে জানান। এ বিষয়ে ডোমার থানার ওসি মোকছেদ আলী জানান, গত ৩ মাসে প্রায় শতাধিক জুয়া ও মাদক সেবীকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল ও জরিমানা করা হয়েছে। তবে আগের তুলনায় বর্তমানে অনেকটা কম এ সব, আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মাদক, জুয়াসহ অন্যান্য অপরাধ দমনে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।

মহিনুল ইসলাম সুজন, বিশেষ প্রতিনিধি॥