নেপালে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিধ্বস্তের ঘটনায় ২৫ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। ওই ফ্লাইটে থাকা মোট ৩৬ জন বাংলাদেশির মধ্যে ১০ জন আহত অবস্থায় নেপালের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একজনের এখনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম তার ফেসবুকে নিহত ও আহতদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছেন। আহতরা কে কোন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তা-ও মন্ত্রীর ওই ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ওই ফ্লাইটে মোট ৩৬ ছিলেন বাংলাদেশি। এর মধ্যে চার জন্য ইউএস বাংলার পাইলট ও ক্রু। বাকি ৩২ জন ছিলেন যাত্রী। এই মোট ৩৬ জনের মধ্যে ২৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। জীবিত ১০ জনের মধ্যে ৯ জন কে, কোন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তা জানিয়েছেন মন্ত্রী। আহতদের মধ্যে আট জনই ভর্তি আছেন কাঠমান্ডু মেডিক্যাল কলেজে (কেএমসি)। তারা হলেন- শাহরিন আহমেদ, আলমুন নাহার এ্যানি, শাহীন ব্যাপারী, মেহেদি হাসান, এমরানা কবীর, কবীর হোসেন, শেখ রাশেদ রোবায়েত ও সৈয়দা কামরুন্নার স্বর্ণা। আর রেজওয়ানুল হক ভর্তি আছেন ওম হাসপাতালে।

যাত্রীদের মধ্যে নিহত বাংলাদেশিরা হলেন- ফয়সাল আহমেদ, ইয়াকুব আলী, আলিফউজ্জামান, বিলকিস আরা, বেগম হুরুন নাহার বিলকিস বানু, আখতারা বেগম, নাজিয়া আফরিন চৌধুরী, মো. রকিবুল হাসান, সানজিদা হক, মো. হাসান ইমাম, মো. নজরুল ইসলাম, আঁখি মনি, মিনহাজ বিন নাসির, এফ এইচ প্রিয়ক, তামারা প্রিয়মনি, মো. মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহারা তানভীন শশী রেজা, পিয়াস রায়, উম্মে সালামা, অনিরুদ্ধ জামান, মো. নুরুজ্জামান ও মো. রাইয়কুজ্জামান।

এছাড়া ইউএস বাংলার পাইলট এবং ক্রুদের মধ্যে নিহতরা হলেন- পৃথুলা রশীদ, খাজা হুসাইন। এর বাইরে ফ্লাইটের পাইলট আবিব সুলতান কোথায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তা জানা যায়নি। ফ্লাইটের একজন ক্রু কে এইচ এম শাফেয়ীর সন্ধানও এখনও পাওয়া যায়নি। ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স নিশ্চিত করেছে ৭৮ জন ধারণে সক্ষম ওই বিমানে চার জন ক্রু ও ৬৭ যাত্রী মিলে ৭১ জন আরোহী ছিলেন। এর মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ, ২৮ জন নারী ও দুটি শিশু ছিল। বিমানের যাত্রীদের মধ্যে ৩২ জন বাংলাদেশি এবং ৩৩ জন নেপালি।

উল্লেখ্য, ৭১ জন আরোহী নিয়ে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে পৌঁছায়। অবতরণের সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এরপর বিমানবন্দরের কাছেই একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। নেপালের সেনাসূত্রে জানা গেছে, ৫০ জন নিহত হয়েছেন এই দুর্ঘটনায়।