রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভ্লাদিমির পুতিন পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সোমবার পাঠানো এক শুভেচ্ছা বার্তায় এ অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, আপনার গতিশীল নেতৃত্বে রাশিয়া ফেডারেশনে স্থিতিশীলতা, শান্তি, উন্নতি ও অগ্রগতি বজায় রয়েছে। আমি নিশ্চিত, আপনার নেতৃত্বে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও সমৃদ্ধশালী হবে।

শুভেচ্ছা বার্তায় দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুতিনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। রবিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে জয় পাওয়ার মধ্য দিয়ে পুতিন টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় এলেন। এবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে সাত প্রার্থী লড়াই করেন।

এসব প্রার্থীরা হলেন- পাওয়েল গ্রোদিনিন, ভ্লাদিমির ঝিরিনোভোস্কি, সের্গেই ব্যাবুরিন, গ্রেগরি ইউলিনেস্কি, বরিস তিতোভ, ম্যাক্সিম সেরিকিন ও নারী প্রার্থী কিসনিয়া সাবচাক। এর আগে, ২০০০ সালে প্রথম প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন।

রাশিয়ার সংবিধান অনুযায়ী, একজন রাজনীতিবিদ ছয় বছরের জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। অবশ্য ২০০৮ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের এই মেয়াদ ছিল মাত্র চার বছর। কিন্তু ওই বছর সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের শাসনামলে প্রেসিডেন্টের মেয়াদকাল চার বছর থেকে বাড়িয়ে ছয় বছর করা হয়। এছাড়া একজন প্রেসিডেন্ট পরপর দুই দফার বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারেন না।

প্রেসিডেন্ট পুতিন ২০০০ সালে প্রথমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। টানা দুবারে আট বছর এই দায়িত্ব পালনের পর সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেননি তিনি। ওই বছর দিমিত্রি মেদভেদেভ রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং পুতিন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। এরপর ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবার পুতিন প্রার্থী হন এবং জয়লাভ করেন।