নোয়াখালীর স্বর্ণদ্বীপকে বিরাট সম্ভাবনা’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিলে এই দ্বীপ জাতীয় অর্থনীতিতে বড় ধরনের অবদান রাখবে।শনিবার স্বর্ণদ্বীপ পরিদর্শনে এসে সেখানে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, আমি স্বর্ণদ্বীপ দেখে অভিভূত। বাংলাদেশের মূল ভূখন্ড থেকে আলাদা একটা দ্বীপ। আয়তনে প্রায় সিঙ্গাপুরের সমান, সমুদ্র কাছাকাছি। ভবিষ্যতে এটা বাংলাদেশের জন্য আরেকটি সিঙ্গাপুর হতে পারে।দ্বীপটি পরিকল্পিতভাবে সাজিয়ে তোলার জন্য সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, জনবসতি যাতে না হয় সেই পরিকল্পনাও রাখা দরকার। সরকার বা সেনাবাহিনীর হাতে থাকলে এটা যেকোনো পরিকল্পনা মাফিক গড়ে তোলা যাবে।এই স্বর্ণদ্বীপ বিরাট এক সম্ভাবনা। ভবিষ্যতে এই স্বর্ণদ্বীপ আমাদের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখতে পারে। সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে স্বর্ণদ্বীপে প্রশিক্ষণ এলাকার পরিকল্পিত ব্যবহারের প্রশংসা করেন এবং এ প্রশিক্ষণ সুবিধা সেনাবাহিনীর দক্ষতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক আবদুল হামিদ বলেন, সারাবছর এখানে সেনাবাহিনী ট্রেনিংয়ের কাজে ব্যবহার করতে পারে। এরকম ফাঁকা জায়গা এক হাওর ছাড়া আর কোথাও নেই। সেখানে প্রশিক্ষণের সময় ফসল নষ্ট হয়, সেগুলোর দাম সেনাবাহিনীকে দিতে হয়। সুতরাং প্রশিক্ষণের জন্য এটা খুব সুন্দর জায়গা।

পানিতে তলিয়ে যাতে না যায় সেজন্য দ্বীপের চারপাশে বাঁধ দেওয়ার প্রয়োজনের কথাও বলেন রাষ্ট্রপতি।দুপুরে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে স্বর্ণদ্বীপ যান রাষ্ট্রপতি। এরপর তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এবং সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মাণাধীন ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হবে।সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিকল্পিত বনায়ন, উন্নত প্রজাতির নারিকেল বাগান ও মিলিটারি ফার্ম পরিদর্শন করেন তিনি।এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার, পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ উপস্থিত ছিলেন।