প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন-জাতির পিতা স্বাধীন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠার এক বছর পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ একটি মননশীল যুবগোষ্ঠি গঠনের উদ্দেশ্যে এবং জাতির পিতার সুদূর প্রসারী চিন্তা ও দর্শন ছিল তারণ্য নির্ভর। এই রাষ্ট্র তখনই বিকশিত হবে-যখন এ দেশের যুব সমাজ সংগঠিত হবে, নেতৃত্বের জন্য গড়ে উঠবে। এ জন্যই যুব মানস গঠনের লক্ষ্যেই জাতির পিতার নির্দেশে শেখ ফজলুল হক মনির নেতৃত্বে ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন যুবক তিনিই যিনি সৃষ্টিশীল তিনিই যুবক। যুবকের কোন বয়সের সীমারেখা নেই। যুবশ্রেণী সমাজের মূল চালিকাশক্তি। দেশের ৪৭ শতাংশ জনগোষ্ঠি যুবক শ্রেণী। মানুষের যৌবনকাল হচ্ছে নিজেকে গড়ে তোলার শ্রেষ্ঠ সময়। মানুষ তার জীবনের যে চারটি স্তর অতিক্রম করে কৈশোর, শৈশব, যৌবন ও বৃদ্ধকাল। তার মধ্যে এই যৌবনকালই হলো শ্রেষ্ঠ কাল, শ্রেষ্ঠ সম্পদ, সৃষ্টির কাল হল যৌবনকাল। যৌবনের অর্ধেক খাও, আর অর্ধেক সঞ্চয় কর। যৌবনের সঞ্চয় বৃদ্ধকালের অবলম্বন। শৈশবে লজ্জা, যৌবনে ভারসাম্য এবং বার্ধক্যে ব্যয় সংকোচন ও দূরদর্শিতার প্রয়োজন। আমরা শিখি যৌবনে আর উপলব্ধি করি বৃদ্ধ বয়সে। যুবক না হয়ে কেউ জ্ঞানী হতে পারে না। যুবক না হলে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, অধ্যাপক, গবেষক, এ্যাডভোকেট, ব্যারিষ্টার, নাট্যকার, রিক্স্রাওয়ালা , ফেরিওয়ালা, সরকারী কর্মচারী, কর্মকর্তা হতে পারে না। যৌবনকাল হল নির্দিষ্ট করার কাল। কোন ডাক্তার ভাল, কোন উকিল ভাল, কোন শিক্ষক, অধ্যাপক ভাল। কোন নেতা ভাল। কোন মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ ইউনির্ভাসি ভাল। তা জানতে হবে। তা নির্দিষ্ট করার কাল। যৌবন কাল হল ইবাদত করার কাল। কর্তব্য পালনের কাল। মা-বাবার প্রতি কর্তব্য পালনের কাল। সরকারের প্রতি, সমাজের দায়িত্ব পালনের কাল।
তিনি আরো বলেন যুবলীগ বিশ্বাস করে আগামী ২০১৮ এর নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য এক মহা পরীক্ষার। তাই বাংলাদেশের জন্য ২০১৮ এর নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। এই নির্বাচন বাংলাদেশের অস্তীত্বের নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির পথে হাটবে না আবার উল্টো পথে যাত্রা করবে।
তিনি বলেন ২০১৮ নির্বাচনে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিশ্বসেরা শেখ হাসিনাকে চাই নাকি সিদ্ধান্তহীন খালেদাকে চাই।
তিনি আরো বলেন ভুলে যেতে হবে আমাদের সব কোন্দল। আমাদের সব বিভেদের রেখা মুছে ফেলতে হবে। আজ বড় প্রয়োজন এক মাত্র শত্রু-আতœকোন্দল দূর করা এবং পক্ষের সব মানুষের হতাশা দুর করা। মনে রাখতে হবে আমার আপনার অনেক দোষ আছে। তাহা অন্যকে সহ্য করতে হবে। শুধু মাত্র কর্মী সমর্থক, সংগঠক, শুভাঙ্কাখীদের মধ্যে মতভেদ দুর করতে পারলেই বাজিমাৎ। সেই কাঙ্খিত পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারলে সব আশা-আকাঙ্খা বিফলে যাবে। সকল উন্নয়ন স্থবির হয়ে যাবে। শুধু সমর্থন নয়, পরামর্শও চাইতে হবে। কি পেলাম আর কি পেলাম না সেই হিসেবের খাতা বন্ধ রাখতে হবে। পার্টির বিভাজন ভেঙ্গে দিতে হবে। ভেদাভেদ ঘুচিয়ে দিতে হবে।। দুরত্ব কমিয়ে বন্ধুত্ব করতে হবে।
আরো বলেন তাই রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনার আগামী ১ এপ্রিল জনসভাকে সফল করার লক্ষ্যে আজকের চট্টগ্রাম উত্তর বিভাগীয় প্রতিনিধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নেত্রীর সভাটি হচ্ছে-নির্বাচনী সভা, আমাদের প্রথম কাজটি হচ্ছে শৃঙ্খলা বজায় রাখা। ১১টার মধ্যে মাঠে প্রবেশ করা। সবুজ ক্যাপ, সবুজ গেঞ্জি, গলায় লাল ফিতা, হাতে ১ হাত পরিমান কাঠিতে যুবলীগের পতাকা নিয়ে মাঠে প্রবেশ করে বসে থাকা। নেত্রী মাঠ ত্যাগ না করা পর্যন্ত বসে থাকা। আর আওয়ামী লীগ নেতৃবন্দের সাথে সমন্বয় রক্ষা করা।

চাদপুর জেলা যুবলীগ আহবায়ক মিজানুর রহমান কালু ভুইয়ার সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দিপু মনি এমপি, ত্রান ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুনুর রশীদ, চাঁদপুর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাসির উদ্দিন আহম্মেদ,সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটোয়ারী, যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, মোঃ ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হীরন, আবদুছ ছাত্তার মাসুদ, মোঃ আতাউর রহমান, অধ্যাপক এ বি এম আমজাদ হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহিন, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আজহার উদ্দিন, আসাদুল হক আসাদ, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, ইকবাল মাহমুদ বাবলু, শাহাদাত হোসেন তসলিম, শ্যামল কুমার রায়, জাকিয়া সুলতানা শেপালী, ডাঃ হেলাল উদ্দিন, হাবিবুর রহমান পবন, রওশন জামিল রানা, চট্টগ্রাম বিভাগ এর অন্তর্গত সকল জেলার সভাপতি, সাধারন সম্পাদক, আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়ক প্রমুখ।