আজ ২৯ মার্চ ২০১৮ বৃস্পতিবার সকাল ১০টায় শহীদ দৌলত মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কক্সবাজার জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন জাতির পিতা স্বাধীন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠার এক বছর পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ একটি মননশীল যুবগোষ্ঠি গঠনের উদ্দেশ্যে এবং জাতির পিতার সুদূর প্রসারী চিন্তা ও দর্শন ছিল তারণ্য নির্ভর। এই রাষ্ট্র তখনই বিকশিত হবে-যখন এ দেশের যুব সমাজ সংগঠিত হবে, নেতৃত্বের জন্য গড়ে উঠবে। এ জন্যই যুব মানস গঠনের লক্ষ্যেই জাতির পিতার নির্দেশে শেখ ফজলুল হক মনির নেতৃত্বে ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। যিনি সৃষ্টিশীল তিনিই যুবক। যুবকের কোন বয়সের সীমারেখা নেই। যুবশ্রেণী সমাজের মূল চালিকাশক্তি। দেশের ৪৭ শতাংশ জনগোষ্ঠি যুবক শ্রেণী। মানুষের যৌবনকাল হচ্ছে নিজেকে গড়ে তোলার শ্রেষ্ঠ সময়। মানুষ তার জীবনের যে চারটি স্তর অতিক্রম করে কৈশোর, শৈশব, যৌবন ও বৃদ্ধকাল। তার মধ্যে এই যৌবনকালই হলো শ্রেষ্ঠ কাল, শ্রেষ্ঠ সম্পদ, সৃষ্টির কাল হল যৌবনকাল। যৌবনের অর্ধেক খাও, আর অর্ধেক সঞ্চয় কর। যৌবনের সঞ্চয় বৃদ্ধকালের অবলম্বন। শৈশবে লজ্জা, যৌবনে ভারসাম্য এবং বার্ধক্যে ব্যয় সংকোচন ও দূরদর্শিতার প্রয়োজন। আমরা শিখি যৌবনে আর উপলব্ধি করি বৃদ্ধ বয়সে। যুবক না হয়ে কেউ জ্ঞানী হতে পারে না। যুবক না হলে কেউ প্রেমও করতে পারে না। যুবক না হলেও কেউ বিয়েও করতে পারে না। যুবক না হলে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, অধ্যাপক, গবেষক, এ্যাডভোকেট, ব্যারিষ্টার, নাট্যকার, রিক্স্রাওয়ালা , ফেরিওয়ালা, সরকারী কর্মচারী, কর্মকর্তা হতে পারে না। যৌবনকাল হল নির্দিষ্ট করার কাল। কোন ডাক্তার ভাল, কোন উকিল ভাল, কোন শিক্ষক, অধ্যাপক ভাল। কোন নেতা ভাল। কোন মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ ইউনির্ভাসি ভাল। তা জানতে হবে। তা নির্দিষ্ট করার কাল। যৌবন কাল হল ইবাদত করার কাল। কর্তব্য পালনের কাল। মা-বাবার প্রতি কর্তব্য পালনের কাল। সরকারের প্রতি, সমাজের দায়িত্ব পালনের কাল। যুবলীগ বিশ্বাস করে আগামী ২০১৮ এর নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য এক মহা পরীক্ষার। তাই বাংলাদেশের জন্য ২০১৮ এর নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। এই নির্বাচন বাংলাদেশের অস্তীত্বের নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির পথে হাটবে না আবার উল্টো পথে যাত্রা করবে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় সহিষ্ণুতার ধারা অব্যাহত থাকবে। নাকি একটি জঙ্গী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে-সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বাংলাদেশের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ থাকবে কিনা- সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিদ্যুৎ চাই নাকি খাম্বা চাই। সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আমরা সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা চাই কিনা।

কক্সবাজার জেলা যুবলীগ সভাপতি মো: খোরশেদ আলম, সাধারণ সম্পাদক মো: মাহবুবুর রহমান চৌধুরী পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো: হারুনুর রশীদ, কক্সবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহম্মেদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, আব্দুর রহমান বদি এমপি, সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক, যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য সামসুল আবেদীন, শহীদ সেরনিয়াবাত, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, মো: ফারুক হোসেন, মো: আতাউর রহমান, এড.বেলাল হোসাইন, সৈয়দ মাহমুদুল হক, ড: আহম্মেদ আল কবির, এড. মোতাহার হোসেন সাজু, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহম্মেদ মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন গাজী, মুহা: বদিউল আলম, আসাদুল হক আসাদ, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগ সভাপতি মাইনুল হোসেন খাঁন নিখিল, যুবলীগ সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, ইকবাল মাহমুদ বাবলু, শ্যামল কুমার রায়, হাবিবুর রহমান পবন, রবিউল আলম, জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা মহানগর দক্ষিন সহ সভাপতি সোহরাব হোসেন স্বপন ও আরমান হক বাবু প্রমুখ।