ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ-এর ৭৪তম জন্মবার্ষিকী রোববার।

মোহাম্মদ হানিফের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন, মেয়র হানিফ স্মৃতি সংসদসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে কবর জিয়ারত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলসহ দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ।

১৯৪৪ সালের পহেলা এপ্রিল তিনি পুরাতন ঢাকার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। নন্দিত এই নেতার একমাত্র পুত্র এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন পিতার জন্মবার্ষিকীতে দেশবাসীর দোয়া কামনা করেছেন।মোহাম্মদ হানিফ ছাত্রাবস্থায় ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৬৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সচিবের দায়িত্ব পান।ঐতিহাসিক ছয়দফা আন্দোলন ও ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা পরবর্তী বিভিণœ আন্দোলন-সংগ্রামে প্রথম কাতারে ছিলেন মোহাম্মদ হানিফ।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে তাঁর ঢাকা-১২ আসনটি ছেড়ে দেন এবং মোহাম্মদ হানিফ ওই আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি জাতীয় সংসদে হুইপেরও দায়িত্ব পালন করেন।মোহাম্মদ হানিফ ১৯৭৬ সালে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করে গেছেন। ১৯৯৪ সালে লক্ষাধিক ভোটের ব্যাবধানে তিনি ঢাকার প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৬-এর মার্চের শেষ সপ্তাহে ‘জনতার মঞ্চ’ গঠন এবং সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে গনজোয়ার সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী (তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা) শেখ হাসিনার ওপর নারকীয় গ্রেনেড হামলার সময় মানবঢাল রচনা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেন মোহাম্মদ হানিফসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এসময় তার মস্তিস্কসহ দেহের বিভিন্ন অংশে অসংখ্য স্প্রিন্টার ঢুকে পড়ে। দীর্ঘদিন দুঃসহ যন্ত্রনা সহ্য করার পর ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর রাতে ৬২ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন।